দার্জিলিং, 25 মে :দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের জেরে কাজ করতে পারছেন না স্বেচ্ছা সেবকরা ৷ আর তাই নিজেই পিপিই কিট পরে করোনায় মৃত ব্যক্তির দেহ দাহ করতে শ্মশানে চলে আসেন বিধায়ক ৷ দার্জিলিংয়ের এই ঘটনা জানাজানি হতেই এ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা ৷ প্রশ্ন উঠছে পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা নিয়েও ৷
করোনায় মৃতদের দেহ সৎকারের কাজে নিযুক্ত স্বেচ্ছা সেবকদের নিরাপত্তা দাবি বিধায়কের ৷ মঙ্গলবার সকালে করোনায় মৃত এক ব্যক্তির দেহ কাঠ দিয়ে দাহ করতে দেখা যায় দার্জিলিংয়ের বিজেপি বিধায়ক নীরজ জিম্বাকে ৷ সূত্রের খবর, দার্জিলিংয়ের গান্ধি রোডের এক বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৷ এদিন সকালে স্থানীয় মুক্তিধাম শ্মশানে তাঁরই দেহ দাহ করা হয় ৷ উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক নীরজ জিম্বা ৷
বিধায়কের দাবি, সোমবার করোনায় মৃত এক ব্যক্তির শেষকৃত্য সারছিলেন সংশ্লিষ্ট অ্যাম্বুল্যান্স চালক আমির গুরুং ও তাঁর সহযোগীরা ৷ কিন্তু সেই সময় ওই শ্মশানে কিছু দুষ্কৃতী তাঁদের হেনস্থা করে ৷ খুনের হুমকিও দেয় ৷ এরপরই প্রাণের ভয়ে স্বেচ্ছা সেবক হিসাবে করোনা রোগীদের দেহ দাহ করার কাজ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালক ও তাঁর সহযোগীরা ৷
আরও পড়ুন :রাস্তায় ছবি এঁকে করোনা নিয়ে সচেতনতার প্রচার আরামবাগ পুলিশের
সেই খবর পাওয়া মাত্রই মঙ্গলবার দার্জিলিংয়ের বিজেপি বিধায়ক নীরজ জিম্বা নিজেই পিপিই কিট পরে ওই শ্মশানে গিয়ে দাহকার্যে হাত লাগান ৷ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমির গুরুং ও তাঁর সহযোগীরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে অতিমারি পরিস্থিতিতে করোনায় আক্রান্তদের দেহ দাহ করছেন ৷ তারপরও তাঁদের সমাজ বিরোধীদের হুমকি ও হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে ৷ তাই প্রশাসনের কাছে আমার আবেদন, এঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক ৷’’