দার্জিলিং, 17 অগস্ট: স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের স্মৃতি বিজড়িত মিউজিয়াম এখন উপেক্ষিত । নেই বিদ্যুৎ, জঞ্জালে ঢেকেছে গোটা মিউজিয়াম । বৃষ্টি হলে ছাদ দিয়ে চুঁইয়ে পড়ে জল । নেই কোনও শৌচাগার । দেশবন্ধুর সেই মিউজিয়ামের বেহাল দশা না দেখলে বিশ্বাসই করা যাবে না । এতটাই উপেক্ষিত ওই স্বাধীনতা সংগ্রামীর বাসস্থান ।
জানা গিয়েছে, ডাউহিল থেকে চৌরাস্তা হয়ে হেঁটে পাঁচ মিনিটের পথ সিআর দাস রোড । সেখানেই দেখা যাবে দোতলা সেই চিত্তরঞ্জন দাসের মিউজিয়ামটি । ওই বাড়িতেই নিজের জীবনের শেষ অধ্যায় কাটিয়াছিলেন দেশবন্ধু । 1925 সালের 16 জুন ওই বাড়িটিতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি । পরবর্তীতে তাঁর ব্যবহৃত সামগ্রী সংরক্ষণ করে সেটিকে মিউজিয়ামে পরিণত করা হয় । সেই সময়কার জমিদার এনএন সরকারের ছিল সেই বাড়িটি ।
চিত্তরঞ্জন দাস মাঝেমধ্যেই রাজনৈতিক চাপের কারণে মানসিক অসুস্থতায় ভুগতেন । যে কারণে তাঁর পরিবার ওই বাড়িতে ছুটি কাটাতে যেত । 16 মে 1925 সালে তাঁর পরিবার চিত্তরঞ্জন দাসকে নিয়ে ওই বাড়িতে ছুটি কাটাতে যায় । সেখানে থেকে সুস্থও হয়ে উঠেছিলেন তিনি । এমনকী তাঁর দার্জিলিংয়ে একটি বাড়িও কেনার কথা পাকা হয়েছিল । 1925 সালের 5 থেকে 9 জুন চিত্তরঞ্জন দাসের সঙ্গে দেখা করতে যান মহাত্মা গান্ধি । দুজনে ওই কদিন কংগ্রেস এবং স্বরাজ পার্টিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে দীর্ঘ আলোচনাও সেরেছিলেন । কিন্তু 14 জুন চিত্তরঞ্জন দাস ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন ও প্রয়াত হন ।