শিলিগুড়ি, ৫ মার্চ : বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের অভিনব প্রচেষ্টায় বাঙালি দম্পতি রথীন্দ্রনাথ দাস ও তাঁর স্ত্রী গীতাঞ্জলি দাস। ভারতের প্রায় সমস্ত বাঘ সংরক্ষণ এলাকা এবং মোট ১৩টি দেশে বন্যপ্রাণ সচেতনতা বাড়াতে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন এই দম্পতি।
কী ভাবে স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ এবং কী ভাবে একসঙ্গে প্রচারে বেরোনোর সিদ্ধান্ত? জানতে চাওয়া হলে রথীন্দ্রনাথবাবু বলেন, "২০১৭ সালে একটি সোশাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় গীতাঞ্জলির সাথে।" রথীন্দ্রনাথবাবুর কাছে বিয়ে বা সংসার বলতে এক ছাদের নিচে থাকা নয়। তাঁর ইচ্ছে, স্ত্রীকে নিয়ে বাইকে সওয়ার হয়ে ছুটবেন নানা দেশে। আর রথীন্দ্রনাথবাবুর সেই প্রস্তাবে রাজিও হয়ে যান গীতাঞ্জলি।
বিয়ের পর এই দম্পতি প্রথম প্র্যাকটিস রাইডে যান রাজস্থানে। ৬০০০ কিলোমিটার সেই টুরের পর এবার স্ত্রীকে নিয়ে প্রায় আশি হাজার কিলোমিটার ভ্রমণ করবেন রথীন্দ্রনাথবাবু। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে তাঁদের যাত্রা। ১৫ ফেব্রুয়ারি সল্টলেক থেকেই যাত্রা শুরু করেছেন তাঁরা। সব পরিকল্পনা মাফিক চললে এই টুর শেষ হবে ২০২০ সালে।
রথীন্দ্রনাথবাবু জানান, "আগে অসমের মানস অভয়ারণ্যে একটি প্রজেক্টে কাজ করতাম। বন্যপ্রাণের প্রতি ভালোবাসা আর অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় চাকরি ছেড়ে দিই। এইটা আমার চতুর্থ টুর।" তিনি আরও জানান, "দেশের সমস্ত বাঘ সংরক্ষণ এলাকা ছাড়াও লাওস, ভিয়েতনাম, চিন, রাশিয়া, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশে, থাইল্যান্ড, মালেশিয়া ও মায়ানমারে যাব। আমাদের এই টুরের নাম জার্নি ফর টাইগার। আমরা সচেতনতা বৃদ্ধির বার্তা নিয়েই যাচ্ছি। অভয়ারণ্য এলাকার স্কুলগুলিতে ছোটোদের কাছে বাঘ ও বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ নিয়ে প্রচার করব।"
এপ্রসঙ্গে গীতাঞ্জলিদেবী জানান, "আমার এই টুরে ক্লান্তি নেই। স্বামীর কাছেই সব শিখেছি। এখন দু'জনে মিলে প্রচারে বেরিয়েছি। আমাদের নিজেদের স্বার্থেই বন্যপ্রাণকে বাঁচানো প্রয়োজন। তাই দেশ দেশান্তরে ছুটে চলেছি আমরা।"