পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

BJP MLA on GTA: জিটিএ ছাড়া পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান অসম্ভব, রাজ্যপালের কাছে দাবি বিজেপি বিধায়কের

পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান না-হওয়া পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখতে হবে জিটিএ'র মতো আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকে, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এমনটাই জানালেন বিজেপি বিধায়ক নীরজ জিম্বা ৷

BJP MLA Neeraj Zimba
বিজেপি বিধায়ক নীরজ জিম্বা

By

Published : Apr 3, 2023, 10:13 AM IST

রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন নীরজ জিম্বা

দার্জিলিং, 3 এপ্রিল: "পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান না-হওয়া পর্যন্ত আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান (গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)-কে বাঁচিয়ে রাখা উচিত।" রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এমনটাই মন্তব্য করলেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি বিধায়ক নীরজ জিম্বা। রবিবার রাতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দার্জিলিংয়ের রাজভবনে সাক্ষাৎ করতে যান বিধায়ক নীরজ জিম্বা। সঙ্গে ছিলেন জিনএলএফের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি। সাক্ষাতের পাশাপাশি পাহাড় ও পাহাড়বাসীর সমস্যা সমাধানে বেশ কয়েকটি দাবি তিনি রাজ্যপালের কাছে তুলে ধরেন।

প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর এটিই তাঁর প্রথম দার্জিলিং সফর। জি-20 সামিট দার্জিলিংয়ে আয়োজিত হচ্ছে। সেই সামিটে যোগ দিতে গিয়েছেন রাজ্যপাল। তাঁর সঙ্গে দেখা করার পর বিধায়ক নীরজ জিম্বার জিটিএ নিয়ে মন্তব্য ফের একবার শৈলরানির রাজনীতিকে সরগরম করে তুলেছে।

এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান, পাহাড়ের 11টি গোর্খা জনজাতিকে কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি, জিটিএ'তে আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত-সহ একাধিক দাবি তুলে ধরেছেন বিধায়ক নীরজ জিম্বা। তাঁর দাবিকে গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল ৷ পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নীরজ জিম্বা বলেন, "রাজ্যপাল পাহাড়ের প্রতিটি পুঙ্খানুপুঙ্খ বিষয়ে অবগত রয়েছেন। তাঁকে নতুন করে কিছু জানাতে হয়নি ৷ তিনি প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের মতোই সক্রিয়। তবে আমরা পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান ও জনজাতির স্বীকৃতি সংক্রান্ত দাবি পেশ করেছি।"

আরও পড়ুন: 'শিবপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে', জি20-তে যোগ দিতে এসে জানালেন রাজ্যপাল

এরপরই ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা হলে জিটিএ কোথায় যাবে? একাধিক উন্নয়নমূলক সংস্থা থাকলে প্রশাসনিক সমস্যা হবে। যারা ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার দাবি করছে তারা পায়ে কুড়ুল নয়, কুড়ুলে নিজের পা মারছেন। আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকেও রক্ষা করতে হবে। জিটিএর আমরা বিরোধীতা করি, সেটা অসাংবিধানিক। কিন্তু তারপরেও আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।"

তাঁর কথায়, কারণ জিটিএ'র পর বড় কোনও কিছু হলে (কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বা পৃথক রাজ্য) আপনা থেকেই সেই সমস্যার সমাধান হবে। সেই বড় জিনিস হলেই ত্রিস্তর নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকবে না। আমাদের যে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের দাবি রয়েছে সেটা হলেই সবকিছুর সমাধান হয়ে যাবে।" তিনি আরও বলেন, "কেন্দ্র সরকার ত্রিস্বর পঞ্চায়েত করতে পারেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তো দ্বিস্তরই করতে পারবে। পঞ্চায়েত নির্বাচন হলে আমরা তাতে রাজি। এরপর আমরা এক্স লড়ব নাকি জোট করে লড়ব তা দলের নেতৃত্বরা ঠিক করবে।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details