দার্জিলিং, 28 সেপ্টেম্বর: করোনার সময়ে চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য 'জিটিএ চেয়ারম্যান রিলিফ ফান্ড' (GTA Chairman Relief Fund) নামে তহবিল তৈরি করে টাকা একত্রিত করেছিলেন প্রাক্তন জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা ৷ সেই টাকা গেল কোথায় ? এই প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবার গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এআর বর্ধনকে স্মারকলিপি জমা দিলেন প্রাক্তন মোর্চা নেতা বিনয় তামাং (Binay Tamang) ৷ সংগৃহীত টাকার হিসেব চেয়ে, দ্রুত সেই টাকা চা বাগানের শ্রমিকদের উন্নয়নের জন্য খরচ করার দাবি জানান তিনি ।
করোনা আবহে পাহাড়ে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে প্রায় বন্ধ ছিল চা বাগানগুলি । বাগান বন্ধ হওয়ায় মজুরি আটকে যাওয়ায় প্রবল সমস্যায় পড়েন বাগানের শ্রমিকরা । 2020 সালের 25 মার্চ তৎকালীন জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা শ্রমিকদের স্বার্থে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ ও শিল্পপতিদের থেকে রিলিফ ফান্ড একত্রিত করার উদ্যোগ নেন । একত্রিত হওয়া টাকা শ্রমিকদের মজুরি ও চা বাগানের উন্নয়নে খরচ করার পরিকল্পনা ছিল । সেইমতো জিটিএ'র অধীনে জিটিএ চেয়ারম্যান রিলিফ ফান্ড নামে একটি পৃথক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চালু করা হয় ।
পরবর্তীতে 2021 সালের 21 জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় 2 কোটি 12 লক্ষ টাকা একত্রিত হয় । ওই ফান্ডের টাকা এখন বেড়ে 4 কোটি 24 লক্ষে দাঁড়িয়েছে । কিন্তু বড় অঙ্কের টাকার বিষয়ে জিটিএ প্রশাসন কোনও উচ্চবাচ্য করছে না বলে অভিযোগ । দুর্গাপুজোয় ওই রিলিফ ফান্ডের টাকা দ্রুত খরচ করার দাবি জানিয়েছেন প্রাক্তন মোর্চা নেতা বিনয় তামাং ।
আরও পড়ুন:Duare Ration : পুজোর আগে ৫০ শতাংশ বাড়িতে দুয়ারে রেশন পৌঁছে দিতে চায় খাদ্য দফতর
এ দিন লালকুঠিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিনয় তামাং বলেন, "অনীত থাপা জিটিএ চেয়ারম্যান থাকাকালীন জিটিএ চেয়ারম্যান রিলিফ ফান্ড নামে ওই অ্যাকাউন্টে প্রায় দু'কোটি টাকারও বেশি জমা হয়েছিল । কিন্তু সেই টাকা কোথায় গেল বা কী হল জানা নেই । বিস্ময়করভাবে ওই টাকার বিষয়ে জিটিএ বা জেলা প্রশাসনও চুপ করে আছে । চা বাগানের শ্রমিকদের টাকা কোথায় গেল বা কী হল, কারা কারা কত টাকা দান করেছে, সেই হিসেব প্রকাশ্যে আনা হোক । তার পাশাপাশি ওই টাকা দুর্গাপুজোর আগেই চা বাগানের ম্যানেজারের মাধ্যমে শ্রমিকদের মধ্যে সমান হারে ভাগ করে দেওয়া হোক, সেই দাবি জানিয়েছি ।"