শিলিগুড়ি, 18 ফেব্রুয়ারি : রাজ্য সরকারের 'দুয়ারে সরকার'-এর মতো এবার দার্জিলিং পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিটি ওয়ার্ডে 'দাইলো মা মিউনিসিপালিটি'র প্রতিশ্রুতি দিলেন অনিত থাপা । 'দাইলো মা মিউনিসিপালিটি ' শব্দের অর্থ দুয়ারে পৌরসভা । পাহাড়বাসীর জন্য নাগরিক পরিষেবা আরও উন্নত করতে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দার্জিলিং পৌরসভার নাগরিক সহায়তা কেন্দ্র গড়ার আশ্বাস দিল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ।
27 ফেব্রুয়ারি দার্জিলিংয়ে পৌরসভা নির্বাচন । এই নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সখ্যতা থাকলেও কোনরকম জোটে না-গিয়ে ৩২টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা । আর প্রার্থী ঘোষণা হতেই নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে তারা (BJPM manifesto for Darjeeling Municipality Election)। ইস্তেহারে সামগ্রিক পৌর-পরিষেবা উন্নত করার আশ্বাস তো দেওয়া হয়েছেই, সব থেকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে 'দাইলো মা মিউনিসিপালিটি' বা 'দুয়ারে পৌরসভা' প্রকল্পের প্রতিশ্রুতির উপর ।
ক্ষমতায় এলে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পৌঁছাবে পুরসভার তৃণমূলের স্টাইলেই মানুষকে আশ্বাস দিলেন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনিত থাপা সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচি চালু করেছে রাজ্য সরকার । এই প্রকল্প যে মানুষের মন টেনেছে তার কিছুটা প্রমাণ মিলেছে 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনেই ৷ বিশেষজ্ঞরাও মেনে নিয়েছেন তৃণমূলের বিপুল জয়ে এই প্রকল্পের বড় ভূমিকা রয়েছে । আর সেই সফলতার কথা মাথায় রেখেই এবার পাহাড়বাসীর স্বার্থে দুয়ারে পৌরসভার আশ্বাস দিলেন অনিত থাপা ।
নির্বাচনে জয়ী হলে দুয়ারে পৌরসভা চালুর আশ্বাস অনিত থাপার আরও পড়ুন : ভোটে হেরেই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদকের বাড়িতে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, সৌজন্য সাক্ষাত দাবি উভয়েরই
নির্বাচনে জয়ী হলে পৌরসভার ৩২টি ওয়ার্ডেই একটি করে পৌর কার্যালয় তৈরি করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি । সেই কার্যালয়ের মাধ্যমে পৌরসভার অধিকাংশ কাজ পরিচালনা করা হবে । এতে পাহাড়বাসীকে সব সমস্যার জন্য আর পৌরসভায় ছুটে যেতে হবে না ৷ এই বিষয়ে বলতে গিয়ে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনিত থাপা বলেন, "আমরা মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ওপরেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি । পরিষেবাকে উন্নত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।" সংগঠনের সম্পাদক তথা প্রার্থী অমর লামা বলেন, "আমরা ভোটে জয়ী হলে প্রতিটি ওয়ার্ডে পৌরসভার কার্যালয় খুলব। তাতে পাহাড়বাসীর অনেক সুবিধা হবে।"