পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

কোরোনার জেরে উৎপাদন কম, বিপুল ক্ষতি বাংলা-অসমের চা বাগানগুলিতে - Tea crisis in tea gardens

কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে চতুর্থ দফার লকডাউন চলছে ৷ ফলে সীমিত সংখ্যক কর্মী নিয়ে চা পাতা তোলার কাজ করছে চা বাগানগুলি । তার জেরে চা কম উৎপাদন হচ্ছে ৷ এই পরিস্থিতিতে প্রায় 140 মিলিয়ন কিলো চা পাতা কম উৎপাদন হচ্ছে অসম ও বাংলায় । যার জেরে আর্থিক ক্ষতির বোঝা প্রায় 2100 কোটি টাকা ছাড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে । যার জেরে আর্থিক সংকটে পড়তে চলেছে একাধিক চা বাগান । ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে ৷

Bengal and Assam tea garden may face huge loss due to low production of tea

By

Published : May 25, 2020, 5:50 PM IST

শিলিগুড়ি , 25 মে : কোরোনা পরিস্থিতিতে চায়ের উৎপাদন কম হচ্ছে ৷ ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে অসম ও বাংলার চা বাগানগুলি ৷ ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে ৷ সেক্ষেত্রে , কেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট দুই রাজ্য সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তা চাইল অসম ও বাংলার চা বাগানগুলি ।

ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে , আপাতত সীমিত সংখ্যক কর্মী নিয়ে চা পাতা তোলার কাজ করছে বাগানগুলি । ফার্স্ট ফ্ল্যাশ অধিকাংশ বাগানেই তোলা যায়নি । এই পরিস্থিতিতে প্রায় 140 মিলিয়ন কিলো চা পাতা কম উৎপাদন হচ্ছে অসম ও বাংলায় । যার জেরে আর্থিক ক্ষতির বোঝা প্রায় 2100 কোটি টাকা ছাড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে । যার জেরে আর্থিক সংকটে পড়তে চলেছে একাধিক চা বাগান ।

এই আর্থিক সংকটের দিকে কেন্দ্র সরকার ও সংশ্লিষ্ট দুই রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন। অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে , চা রপ্তানির ক্ষেত্রে সেকেন্ড ফ্ল্যাশ চা কবে পাওয়া যেতে পারে সেই বিষয়ে কয়েকটি দেশ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু যা পরিস্থিতি তাতে এখনও নানা সমস্যার মধ্যে দিয়েই এগোতে হচ্ছে চা বাগানগুলিকে ।

দার্জিলিং ও ডুয়ার্সের চা বাগানগুলির একাধিক কর্তারাও জানান , উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আপাতত 50 শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ হচ্ছে। এর জেরে মার খাচ্ছে চায়ের উৎপাদন । ফলে বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা ।

শিলিগুড়িতে, নর্থবেঙ্গল টি প্রডিউসার আসোসিয়েশনের সভাপতি প্রবীর শীল বলেন , কম-বেশি সমস্ত বাগানেই উৎপাদন মার খেয়েছে । গড়ে 50 থেকে 55 শতাংশ কম উৎপাদন হচ্ছে । ফলে আর্থিক দিক দিয়ে একটা সংকট আসছে । এ নিয়ে কেন্দ্র সরকারের হস্তক্ষেপ চাইছি আমরা । আর্থিক সহায়তা না পেলে পরিস্থিতি খারাপ দিকেই এগোবে।

ABOUT THE AUTHOR

...view details