শিলিগুড়ি, 14 জুলাই: সীমা হায়দার ও শচিন ঠাকুরের প্রেম নিয়ে দেশজুড়ে চর্চা চলছে ৷ এক ভারতীয় যুবকের প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে এ দেশে এসেছেন সীমা। সীমা হায়দারের মতো আরেকজনও দেশে এসেছেন ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ৷ তিনিও ভালোবাসার টানেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রধাননগর এলাকায় এসে ঘর বেঁধেছিলেন ৷ তবে তিনি প্রতারিত হয়েছেন ৷ মোহ ভেঙেছে ৷ ঘর বাঁধার উলটে এখন তাঁর ঠিকানা পুলিশের হেফাজত ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর নাম সপলা আখতার ৷ সামাজিক মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় ৷ পরে তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায় ৷ আর সেই যুবকের জন্যে নিজের ঘর ছেড়ে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত টপকে অর্থাৎ বেআইনি পথে রাজ্যে ঢুকে পড়েন সপলা ৷ তবে তাঁর কপালে যে কী অপেক্ষা করছে তা তিনি বুঝতেও পারেননি।
আরও পড়ুন: প্রেমের তাগিদে লিঙ্গ পরিবর্তন, বিয়ের রেজিস্ট্রির আবেদন 2 বান্ধবীর
প্রায় আড়াই মাস আগে সপলা বাংলাদেশের যশোর হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন ৷ এরপর দার্জিলিংয়ে প্রধাননগর থানা এলাকায় প্রেমিকের সঙ্গে সুখেই দিন কাটছিল তাঁর ৷ নিজে বিউটিশিয়ানের কাজও করছিলেন ৷ কিন্তু হঠাৎ একদিন সপলা জানতে পারেন, প্রেমিক তাঁকে নেপালে বিক্রি করার ছক কষছে ৷ প্রেমিকের হাত থেকে বাঁচতে সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে পালিয়ে যান তিনি ৷ বুধবার রাতে শিলিগুড়ি জংশন এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন সপলা ৷ সেই সময় তাঁকে দেখে সন্দেহ হয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ৷