শিলিগুড়ি, 6 জানুয়ারি: গভীর জঙ্গল । মাঝে কিছুটা কাঁচা রাস্তা । সেই আকাঁবাকা পথ ধরে এগিয়ে গেলেই দেখা মিলবে এক মন্দিরের ৷ সেখানেই পূজিত হচ্ছেন মা বনদুর্গা (Banadurga Worshipped in a Temple of Siliguri) । একদিনের এই পুজোয় হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় । তবে এই পুজোর পিছনে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রয়েছে ডাকাত সর্দার ভবানী পাঠক ও তাঁর যোগ্য শিষ্যা দেবী চৌধুরানির ইতিহাস (Memory of Bhavani Pathak and Devi Chaudhurani)৷
পাশাপাশি রয়েছে সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'দেবী চৌধুরানি' উপন্যাসে উল্লিখিত দিল্লি ভিটা ও চাঁদের খাল জায়গা দু'টি ৷ তবে এই জায়গায় এখন উত্তরবঙ্গবাসীর কাছে পরিচিত বনদুর্গার মন্দির (Siliguri Bana Durga Mandir) হিসেবে ৷ কথিত আছে দেবী চৌধুরানি নাকি নৌকা করে করতোয়া নদী পেরিয়ে এখানে এসে পুজো শুরু করেছিলেন । তখন থেকেই এখানে সূচনা হয় পুজোর । প্রথমদিকে অবশ্য ওই এলাকায় ঠুনঠুনিয়া গ্রাম থাকায় দেবী 'ঠুনঠুনিয়া মা' নামে পরিচিত ছিলেন ৷
শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভার অন্তর্গত বৈকুণ্ঠপুর অভয়ারণ্যের (Siliguri Baikunthapur Forest) প্রায় আড়াই কিলোমিটার ভিতরে অবস্থিত এই মন্দির । এক সময় ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানির গোপন আস্তানা ছিল এই মন্দিরে । ডাকাতির আগে এই মন্দিরেই পুজো দিয়ে বেরোতেন দেবী চৌধুরানি । তারপর কালক্রমে প্রতি বছর পৌষমাসের পূর্ণিমা তিথিতে রীতি মেনে জাঁকজমক করে পুজো হয় এই মন্দিরে । বছরের অন্যান্য সময় জনমানবশূন্য থাকলেও পুজোর দিন ভক্ত সমাগম হয় প্রচুর ৷