শিলিগুড়ি, 19 জানুয়ারি: টানা 15 দিনের জন্য বন্ধ হতে চলেছে বাগডোগরা বিমানবন্দর (Bagdogra Airport)। তাতেই বিপাকে পড়তে চলেছেন যাত্রীরা ৷ সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করে 11 এপ্রিল থেকে 25 এপ্রিল পর্যন্ত বাগডোগরা বিমানবন্দর সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করেছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া ৷ মূলত, বিমানবন্দরের রানওয়ের মেরামত ও সংস্কারের কাজের জন্য বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে পর্যটনের পাশাপাশি চিকিৎসা করাতে যারা যাতায়াত করবেন তারাও বিপাকে পড়তে চলেছেন।
বাগডোগরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার হওয়ায় বাগডোগরা বিমানবন্দর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাগডোগরা বিমানবন্দর দিয়েই একমাত্র যাত্রীবাহী বড় বিমান চলাচল করে। বাকি দুটি বিমানবন্দর সিকিমের পাকইয়ং ও অসমের ধুবড়ি বিমানবন্দর দিয়ে সেভাবে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল করে না এবং সেইসব বিমানবন্দর দিয়ে বিমান চলাচলের সংখ্যাও অনেক কম। বাগডোগরা বিমানবন্দরের উপর নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশের পাশাপাশি সিকিম, বিহার, অসম-সহ অন্যান্য প্রতিবেশী রাজ্যের মানুষও নির্ভরশীল৷ বিমানবন্দর টানা বন্ধ থাকায় পর্যটক ও সেখানকার যাত্রী পরিষেবার সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের রোজগারও বড়সড় ধাক্কা খাবে।
বাগডোগরা বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন 36টি বিমান চলাচল করে। প্রতিদিন গড়ে 8 থেকে 9 হাজার যাত্রী ওই বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করে ৷ ভারতীয় বায়ুসেনা বিমানবন্দরে গত একমাস ধরে মেরামত ও সংস্কারের কাজ করে চলছে। চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ শেষ করার জন্য টানা কয়েকদিন বিমানবন্দর বন্ধ রাখা আবশ্যক বলে জানানো হয়েছে। বাগডোগরা বিমানবন্দরের ডিরেক্টর শুভমনি পি বলেন, "ভারতীয় বায়ুসেনা আমাদেরকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল যে শেষ পর্যায়ের কাজের জন্য বিমানবন্দর বন্ধ রাখা প্রয়োজন। সেইমতো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নির্দেশিকা জারি করে 15 দিনের জন্য বিমানবন্দরের সমস্ত পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করেছে। রানওয়ের কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।"
রানওয়ে মেরামতের কাজের জন্য বন্ধ হতে চলেছে বাগডোগরা বিমানবন্দর আরও পড়ুন: করোনায় বেহাল পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে আইনি পথে ব্যবসায়ীরা
পর্যটন সংস্থার সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, "বাগডোগরা বিমানবন্দরের উপর প্রতিবেশী দেশ এবং বেশ কয়েকটি রাজ্য ভীষণভাবে নির্ভরশীল। শুধু পর্যটন নয় বিশেষ করে স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য বহু মানুষ বাগডোগরা বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করেন। এখন করোনা পরিস্থিতির জন্য বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা কম রয়েছে। এই সময় রানওয়ের মেরামতের কাজ করা যেতে পারত। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে কর্তৃপক্ষ এই সময় বাদ দিয়ে এপ্রিল মাসে করছে। আমরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে আবেদন করব যদি বিকল্প কোনও পথ বের করা যায়।" বাগডোগরা ট্যাক্সি ইউনিয়নের সম্পাদক সুনীল গুরুং বলেন, "আমাদের তো অসুবিধা হবে ঠিকই কিন্তু আগামীতে পরিষেবা যাতে ঠিক থাকে সেজন্য আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।"