শিলিগুড়ি, 21 সেপ্টেম্বর: "বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় না-থাকলে আমি চাকরি পেতাম না। আমার স্বপ্নপূরণ হতো না।" চাকরি হাতে পেয়ে প্রথম কথা অনামিকার ৷ দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে চাকরিতে যোগদান করলেন তিনি। আর চাকরিতে যোগ দিয়েই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানালেন চাকরিপ্রাপ্ত শিক্ষিকা অনামিকা রায়। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি সংলগ্ন আমবাড়ির হরিহর হাইস্কুলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন অনামিকা রায়।
তিনি শিলিগুড়ির সুভাষপল্লীর বাসিন্দা। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির আইনি লড়াইয়ের জটিলতায় নিজের প্রাপ্য চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন অনামিকা রায়। সেই নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম উঠে এসেছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর ৷ পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারির চাকরি পাওয়ার পর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন শিলিগুড়ির আরেক চাকরির দাবিদার ববিতা সরকার। এরপর সেই মামলা চলে প্রায় পাঁচ মাস।
এরপর অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরিই শুধু ববিতা পাননি ৷ বরং, প্রায় 18 লক্ষ টাকা ববিতা সরকারকে ফেরত দিতে হয় অঙ্কিতা অধিকারীকে। ববিতা সরকার চাকরি পেতেই পালটা সেই ক্রমিক নম্বর ও চাকরির আসল দাবিদার হিসেবে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন অনামিকা রায়। প্রায় এক বছর চলে শুনানি। শুনানির সময় আদালত রায় দেয় ববিতা সরকার তাঁর পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়েছেন। যে কারণে ফের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ববিতাকে চাকরি থেকে সরিয়ে অনামিকাকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেন।