দার্জিলিং, 15 ডিসেম্বর: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই নড়েচড়ে বসল ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর। জমি কারবারে আধিকারিকদের জড়িয়ে পরার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এবার মাটিগাড়া ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিকদের দফতরে তদন্তে গেলেন রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার এবং রাজস্ব আদায় বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। আর শুক্রবার ওই আধিকারিকদের তদন্ত অভিযানকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
12 ডিসেম্বর শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে সরাসরি জমি কারবারের সঙ্গে বিলআরও এবং ডিএলআরওদের জড়িয়ে পরার অভিযোগ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর শুধু তাই নয়, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের প্রধান সচিবকে তৎক্ষণাৎ তদন্ত করে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশের পরই এদিন মাটিগাড়া ব্লকের বিএলআরও অফিসে তদন্ত অভিযানে নামে ভূমি দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
এদিন ওই তদন্ত কমিটিতে ছিলেন নবান্নের ভূমি দফতরের বিশেষ সচিব অভিজিৎ ভট্টাচার্য, ডেপুটি ডিরেক্টর সুরজ রাউথ, এসডিএলআরও টিনা ডুকপা। সকাল 11টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত তদন্ত করেন আধিকারিকরা ৷ সেই সময়ে বিএলআরও দীপেন লামার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বেশ কয়েকটি অভিযোগ নিয়ে কথাও বলেন আধিকারিকরা। বেশ কিছু নথিও খতিয়ে দেখেন তারা ৷ তদন্তের শেষে বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করে নিয়ে যান তারা ৷ তবে তারা সেভাবে সংবাদমাধ্যমের কাছে খোলাখুলি কোন মন্তব্য করেননি।
অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছিলাম। সেসব খতিয়ে দেখা হল।" বিএলআরও দীপেন লামা বলেন, "ভূমি দফতরের আধিকারিকরা সব খতিয়ে দেখলেন। কিছু অভিযোগ নাকি তারা পেয়েছিলেন। সেসব নিয়ে জানতে চান।" জানা গিয়েছে, মাটিগাড়া এলাকায় শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষর জমি, পূর্ত দফতর-সহ বেশ কিছু সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল হয়েছে। আধিকারিকরা সেসব জমির বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। এছাড়াও মহানন্দা, মেচি, বালাসন নদীতে অবৈধ মাইনিং নিয়ে বহুদিন ধরে অভিযোগ উঠে এসেছিল। অভিযোগ ছিল, বিএলআরওর মদতেই জমি জবরদখল এবং অবৈধ মাইনিং চলছে। আর সেইসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই এদিন তদন্তে আসেন ভূমি দফতরের আধিকারিকরা।