দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হরিরামপুর (দক্ষিণ দিনাজপুর), 2 মে: তৃণমূলে নবজোয়ার আনতে এবার দক্ষিণ দিনাজপুরে মঙ্গলবার হাজির হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ ওই জেলার একমাত্র লোকসভা আসন বালুরঘাট ৷ সেখানকার সাংসদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ স্বাভাবিকভাবে তাই অভিষেক সুকান্তকেই নিশানা করেন ৷
দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি অভিষেকের বক্তব্য, ‘‘আমি শাসক দলের একজন প্রতিনিধি হয়ে রাস্তায় নেমেছি । কিন্তু আজও পর্যন্ত বিজেপির কেউ এরকম রাস্তায় নামেনি । বিজেপি বিভিন্ন সময় অনেক কটাক্ষ বা বিদ্রূপ করেন । আমি বাড়িঘর সব ছেড়ে রাস্তাঘাটে পড়ে রয়েছি ৷ কিন্তু বিজেপির সুকান্ত মজুমদার বিজেপির বর্তমানে এখন রাজ্য সভাপতি তিনি নিজের 6টি বিধানসভা এলাকায় রাত কাটাক, মানুষের পাশে থাকুক, তারপরে এই বড় বড় ভাষণ দেবে ।’’
এদিন দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর ব্লকে এএসডিএম হাইস্কুল মাঠে জনসভা করেন অভিষেক ৷ ওই সভা থেকেই তিনি সুকান্তের সমালোচনায় সরব হন ৷ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘হরিরামপুর-সহ দক্ষিণ দিনাজপুরে বিজেপি মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে ৷’’
দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একই সঙ্গে একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ করলেন বিজেপি ও কেন্দ্রের মোদি সরকারকে ৷ তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে মোদি সরকার বাংলাকে বঞ্চনা করছে ৷ পাশাপাশি 2019 সালে বিজেপি যে দক্ষিণ দিনাজপুরের একমাত্র লোকসভা আসন বালুরঘাটে জিতেছে, সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রশ্ন তোলেন যে ওই এলাকার জন্য কী কী উন্নয়ন হয়েছে ?
দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গত, গত 25 এপ্রিল তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির সূচনা হয় কোচবিহার থেকে ৷ টানা দু’মাস ধরে চলবে এই কর্মসূচি ৷ যা শেষ হবে কাকদ্বীপে ৷ ওই কর্মসূচিকে সামনে রেখে জনসংযোগ করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও উত্তর দিনাজপুর পেরিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরে এসেছেন অভিষেক ৷ অন্য জেলাগুলির মতো এখানেও তিনি সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন, শাসকদল হয়েও তৃণমূল রাস্তায় নেমেছে । দুর্নীতি মুক্ত পঞ্চায়েত গড়াই তৃণমূলের লক্ষ্য ৷ সেই কারণেই সাধারণ মানুষকে তাঁদের প্রার্থী বেছে নেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে তৃণমূল ৷
দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি অভিষেক বলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ মানুষকে যা কথা দেয়, তা কথা রাখে । কথা দিয়ে কথা রাখার নাম তৃণমূল কংগ্রেস । তৃণমূল কংগ্রেস হল হাই কোয়ালিটির ডিভিডি । কিন্তু বিজেপি হল ভাঙা ক্যাসেট । আগামিদিনে সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিতে হবে, আগামী এক বছরের লড়াই অত্যন্ত কঠিন । অনেক বাধা-বিপত্তি আসবে সেই সময় ভাঙলে চলবে না । সেই সময় বিপদকে জয় করে এগিয়ে চলতে হবে ।’’
দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি এদিকে অভিষেক চলে যাওয়ার পর হরিরামপুরে পঞ্চায়েতের প্রার্থী নির্বাচনের ভোট নিয়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় । সেখানেই হরিরামপুর থানার পক্ষ থেকে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন থাকলেও হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ব্যালট পেপার নিয়ে ।
আরও পড়ুন:'100 দিনের মন কি বাত করছেন, কিন্তু একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে চুপ', মোদিকে কটাক্ষ অভিষেকের