বালুরঘাট, 21 এপ্রিল : লকডাউনের মধ্যেই ঋণের EMI নিতে এসে গ্রামবাসীদের ঘেরাওয়ের মুখে পড়লেন ব্যাঙ্ক কর্মী। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট ব্লকের ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের হোসেনপুর সন্ন্যাস কলোনি এলাকায়। পরে গ্রামবাসীদের চাপে ওই ব্যাঙ্ক কর্মী ঘটনাস্থান থেকে চলে যান। কেন্দ্র সরকার যখন EMI তিন মাস বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে ঠিক তখন EMI নিতে কী করে আসে কোনও কর্মী, এই প্রশ্ন তোলেন গ্রামবাসীরা। এই নিয়েই তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পুলিশ আসে ।
লকডাউনে ঋণের EMI নিতে আসায় ব্যাঙ্ক কর্মীকে ঘেরাও গ্রামবাসীদের
লকডাউন শুরু হতে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয় তিন মাসের জন্য EMI বন্ধ রাখা হচ্ছে। কেন্দ্রের সেই নির্দেশিকা ব্যাঙ্ক ও বেসরকারি আর্থিক সংস্থাকে মানার জন্য আবেদন করাও হয়। কিন্তু লকডাউনের মধ্যেই লোনের EMI নিতে এসে গ্রামবাসীদের ঘেরাওয়ের মুখে পড়লেন এক ব্যাঙ্ক কর্মী। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট ব্লকের ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের হোসেনপুর সন্ন্যাস কলোনি এলাকায়। পরে গ্রামবাসীদের চাপে পরে ওই ব্যাঙ্ক কর্মী ঘটনাস্থান থেকে চলে যান।
লকডাউন শুরু হতে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয় তিন মাসের জন্য EMI বন্ধ রাখা হচ্ছে। কেন্দ্রের সেই নির্দেশিকা ব্যাঙ্ক ও বেসরকারি আর্থিক সংস্থাকে মানার জন্য আবেদন করাও হয়। মূলত লকডাউনের ফলে সাধারণ মানুষের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে EMI দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। অভিযোগ, কেন্দ্র সরকারের এই নির্দেশিকাক অমান্য করে মঙ্গলবার সকালে বালুরঘাট ব্লকের ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের হোসেনপুর সন্ন্যাস কলোনি এলাকায় বন্ধন ব্যাঙ্কের এক কর্মী EMI নিতে আসেন। এমন পরিস্থিতিতে EMI নিতে আসায় স্থানীয়রা ওই ব্যাঙ্ক কর্মীকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। ছড়ায় চাঞ্চল্য ৷ যদিও ঘটনাস্থানে পুলিশ যাওয়ার আগেই স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা নিখিল কর্মকার ও সঞ্জিৎ মহন্ত জানান, লকডাউনের জন্য তিন মাসের EMI দিতে হবে না। কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতির পরেও কীভাবে EMI নিতে পাঠায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। এদিকে EMI দেওয়ার জন্য সামাজিক দূরত্ব না মেনে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। এতে আতঙ্ক থেকেই যায়। তাই তাঁরা ওই ব্যাঙ্ক কর্মীর কাছ থেকে EMI নিতে আসার কারণ কী তা জানতে চেয়েছেন। অনেকেই এনিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। যদিও এবিষয়ে ওই ব্যাঙ্ক কর্মী কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে তিনি জানান যাঁরা EMI দিতে ইচ্ছুক, তাঁদেরটা শুধু নিতে এসেছেন।