বালুরঘাট, 2 সেপ্টেম্বর: নাবালকের মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ বালুরঘাটে। মৃতের নাম জয়ন্ত পাহান (14)। বাড়ি বালুরঘাট থানার চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাকরা বাগানপাড়ায়। জয়ন্ত তপনের হরিদানা হাই স্কুলে ক্লাস নাইনের ছাত্র। সোমবার সন্ধ্যায় শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় তাকে বালুরঘাট হাসপাতালে আনা হয়। প্রথমে ভরতি না করিয়ে ওষুধ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় হাসপাতাল। রাস্তায় যাওয়ার পথে ফের অসুস্থ হয় সে৷ এরপর হাসপাতাল নিয়ে আসা হলেও কিছুক্ষণ বাদে মারা যায় নাবালক। মৃতের পরিবার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে। এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলেও জানিয়েছে পরিবার। যদিও আজ অভিযোগ দায়ের করতে হাসপাতালে গেলে, সরকারি ছুটি থাকায় তা সম্ভব হয়নি। আগামীকাল অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
কিশোরের মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের বিরুদ্ধে
অভিযোগ, জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এলেও নাবালককে ওষুধ দিয়ে বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়৷ শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ফের হাসপাতালে এলেও অক্সিজেন দেওয়া হয়নি তাকে৷ এর কিছু পরেই তার মৃত্যু হয়৷
জয়ন্ত পাহানের বাবা কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন। তপনের লস্করের পিসির বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত সে। সেখানকার হরিদানা হাই স্কুলের ক্লাস নাইনে ছাত্র। গতকাল বিকেলে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ে নাবালক। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট সমস্যা হওয়ায় তাকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ, সেখানে চিকিৎসকরা প্রথমে তাকে দেখে ওষুধ দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলে। চিকিৎসকদের কথা মতো ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন জয়ন্ত। মাঝপথে ফের অসুস্থ হয়ে পড়লে তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়। হাসপাতালে নিয়ে আসার কিছু পরেই সে মারা যায়। এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। এক প্রতিবেশীর কথায়, দ্বিতীয়বার হাসপাতালে নিয়ে এলেও তাকে দেওয়া হয়নি অক্সিজেন। এর ফলেই মৃত্যু হয়।
এই বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুকুমার দে-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।