বালুরঘাট, 6 সেপ্টেম্বর : দীর্ঘ 10 মাস বন্ধ শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের বেতন ৷ প্রায় দু'বছর ধরে বন্ধ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ৷ বেতন ও বৃত্তি না মেলায় আগ্রহ হারাচ্ছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের 40টি জাতীয় শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা ৷
এবিষয়ে স্কুলের শিক্ষক সজল দাস ও বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, "প্রায় দশ মাস ধরে বেতন পাইনি ৷ প্রশাসনকে জানিয়েছি ৷ সদুত্তর মেলেনি ৷ ওদের বক্তব্য, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ট্রেনিং-এ গেছে ৷ ফেরার পর সুরাহা হবে ৷ আমরা আতঙ্কিত কারণ এর আগে 2011 সালে 2 মাসের বেতন পাইনি ৷ খুব সামান্য বেতনে কাজ করি ৷ তারপরও সেটা অনিয়মিত ৷ আর্থিক সংকটে ভুগছি ৷ এ অবস্থায় কাজ চালানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে ৷ পড়ুয়ারাও বৃত্তি পাচ্ছে না ৷"
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মোট 40টি জাতীয় শিশু শ্রমিক স্কুল রয়েছে 3টি NGO-র অধীনে ৷ ভারতীয় রেড ক্রস, সেন্ট জন্স ও টেগর সোসাইটি ৷ 40টির মধ্যে 15টি ভারতীয় রেড ক্রসের অধীনে ৷ 2টি-র দেখাশোনা করে সেন্ট জন্স ৷ বাকি 23টি রয়েছে টেগর সোসাইটির অধীনে ৷ এক একটি স্কুলে কম বেশি 50 জন করে 1800-র বেশি পড়ুয়া রয়েছে । শিক্ষক অশিক্ষক মিলে ৪ জন করে ১৬০ জন কর্মী রয়েছেন । এছাড়াও ১৪ জন কারিগরি শিক্ষক রয়েছেন জেলায় । এইসব স্কুলে মূলত স্কুল ছুট শিশু শ্রমিকদের পড়ানো হয় । কর্মীদের বেতন হয় ছ'মাসের ব্যবধানে বছরে দু'বার ৷ স্কুলের পড়ুয়াদের বৃত্তি আগে ছিল প্রতি মাসে 100 টাকা ৷ এখন বাড়িয়ে করা হয়েছে প্রতি মাসে 400 টাকা ৷
এবিষয়ে জেলা শ্রম দপ্তরের আধিকারিক তপন হালদার জানান, ছয় মাসের বিল একবারে হয় । পুরোনো, নতুন মিলিয়ে দু'টি বিল বাকি আছে । লোকসভা নির্বাচনের জন্য একটি বিল আগে আটকে ছিল । নতুন আরেকটি বিল বাকি রয়েছে । এটা শুধু এই জেলাতে নয়, গোটা রাজ্য ও দেশের শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়ের একই অবস্থা । যদিও তিনি এবিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন । আশা করছেন পুজোর আগে বা পরে সবাই টাকা পেয়ে যাবেন ৷