বালুরঘাট, 25 সেপ্টেম্বর : পাকা রাস্তার দাবিতে রাস্তায় গাছের ডাল ফেলে ও ধানের চারা রোপণ করে বিক্ষোভ দেখাল ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা । ঘটনাটি বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের চককাশি এলাকার । গ্রামবাসীদের দাবি, পাকা রাস্তা না হলে তারা এই অবরোধ তুলবে না । যদিও প্রশাসনিক আশ্বাসে ঘণ্টা খানেক পর অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনকারীরা । এরপর স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি ।
বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের চককাশি থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে মাটির । এর ফলে একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জমে যায় কাদা । এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে চককাশি, গঙ্গাসাগর, কুয়ারণ, গুপীনগর, রাধানগর এলাকার কয়েক হাজার মানুষ । অন্য সময় কোনও রকমে চলাচল করতে পারলেও মূল সমস্যা বাধে বর্ষাকালে । একটু বৃষ্টি হলেই জমে যাচ্ছে রাস্তায় কাদা । এরফলে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারে না তারা। চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল থাকায় তা পাকা বা ঢালাই করার জন্য বারংবার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছে । এমনকী মাস দুয়েক আগে পঞ্চায়েত ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল স্থানীয়রা । তারপরও কোনও লাভ হয়নি । তাই আজ বেহাল রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা ।
এ-বিষয়ে আন্দোলনকারী বিকাশ মণ্ডল বলেন, “বহু বছর ধরে এই রাস্তার জন্য ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে কয়েকটি গ্রামের সাধারণ মানুষকে । এই রাস্তাতেই বালুরঘাট ব্লকের গুপিনগর, রাধানগর এবং গঙ্গাসাগর গ্রাম পড়েছে । বর্ষায় রাস্তার দুর্দশায় এলাকার পড়ুয়ারা স্কুলে যাতায়াত করতে পারে না । আমরা গ্রামবাসীরা এর আগেও পঞ্চায়েত প্রধানের মাধ্যমে BDO-র কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলাম । গ্রামবাসীদের হস্তাক্ষর নিয়ে অভিযোগ জানানোর পর আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল খুব দ্রুত রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হবে । তাছাড়াও প্রধানের কাছে লিখিত নেওয়া হয়েছিল দু'মাসের মধ্যে রাস্তা সারাই করা হবে । কিন্তু কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও রাস্তার কাজে হাত লাগানো হয়নি । বরং রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেছে । আজও এখানে চলাচলের উপযুক্ত রাস্তার সন্ধান মেলেনি । তারই প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা পথ অবরোধ করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে । সরকার থেকে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে কাদা-জলে ভরা রাস্তায় চারাগাছ পুঁতে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে । ”
আরও পড়ুন : বেহাল রাস্তা, ধানগাছ লাগিয়ে প্রতিবাদ
অন্যদিকে এবিষয়ে স্থানীয় প্রধান গোপাল মুর্মু জানান, “রাস্তা নির্মাণের জন্য আমরা গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের সমস্ত প্রক্রিয়া নিয়মমাফিক সম্পন্ন করেছি । রাস্তা তৈরি করার জন্য টেন্ডার পাশ করতে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ব্লক স্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে । ব্লক স্তর থেকে অনুমোদন না মেলায় রাস্তার কাজে হাত লাগানো যাচ্ছে না । উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি পেলেই টেন্ডার ডেকে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হবে ।”