বংশীহারী, 13 এপ্রিল : কোরোনা রুখতে রাস্তা আটকে দিল ছাত্র-ছাত্রীসহ গ্রামবাসীরা ৷ বুনিয়াদপুর পৌরসভার 9 নম্বর ওয়ার্ডের পালপাড়ার ঘটনা ৷ কোরোনা ভাইরাস রুখতে গ্রামে যাওয়ার মূল রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হল ।
দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর মহাকুমার গঙ্গারামপুর এবং বুনিয়াদপুর শহরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ । কোরোনা ভাইরাস রুখতে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার । পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েক জনের শরীরে ভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে । ইতিমধ্যেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোরোনা মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে । গঙ্গারামপুর ও বালুরঘাট হাসপাতালে খোলা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড । গঙ্গারামপুর মহাকুমা এলাকার সমস্ত দোকানপাট বন্ধ করা হয়েছে ৷ পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজর রাখা হয়েছে কেউ যেন দোকানপাট না খোলে এবং রাস্তায় যেন কেউ অকারণে না ঘোরে । লকডাউন সফল করতে বাজার ও ব্যস্ততম এলাকাগুলিতে নজরদারি চলছে প্রশাসনের ।
আজ বুনিয়াদপুর পৌরসভার 9 নম্বর ওয়ার্ডের পালপাড়া থেকে মুরগামারি যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিল এলাকাবাসীসহ স্কুল ছাত্রীরা । তাঁদের বক্তব্য, আমরা বাইরের কাউকে গ্রামে ঢুকতে দেব না ৷ ভিন রাজ্য থেকে আসার শ্রমিকরা কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন ৷ গ্রামে একজন ঢোকা মানে এই জীবাণু গ্রামের সবার হয়ে যাবে ৷ সেজন্য আমরা গ্রামে কাউকেই ঢুকতে দেব না ।
স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জিত রায় বলেন, "আমরা বংশীহারীর পালপাড়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি ৷ এখন কোরোনা ভাইরাসে সবাই আক্রান্ত হচ্ছে ৷ বাইরে থেকে লোক আসার জন্য এই কোরোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে । সেকারণে বাইরে থেকে কেউ যেন আমাদের পাড়ায় আসতে না পারে, সেজন্য রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি । "
প্রতিমা পাল নামে এক স্কুল ছাত্রী বলে, " আমরা পালপাড়ার সামনে রাস্তায় ব্যারিকেড করে বন্ধ করে দিয়েছি । কারণ কোরোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে হু হু করে ৷ যারা মূলত বাইরে কাজ করে তাদের মাধ্যমেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে । সেই সমস্ত লোক যেন আমাদের গ্রামে প্রবেশ করতে না পারে, রাস্তায় বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করে বন্ধ করে দিয়েছি । যতদিন পর্যন্ত লকডাউন চলবে ততদিন পর্যন্ত এই বাঁশের ব্যারিকেড থাকবে । বাইরে থেকে আসা শ্রমিকরা আগে হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করবে যে তাদের কোরোনা সংক্রমণ হয়নি তারপর তাদেরকে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হবে । "