পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

সাইকেলে কানপুর থেকে বাড়ি ফিরলেন বুনিয়াদপুরের যুবক

বুনিয়াদপুর পৌরসভার নারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন কানপুর থেকে সাইকেল চালিয়ে প্রায় 12 দিন পর আজ বাড়ি ফেরেন ৷ এদিকে , রাজস্থান থেকে পাঁচজন আজ বংশীহারীতে ফেরেন ৷ তাঁদের 14 দিনের জন্য কোয়ারানটিনে রাখা হয়েছে ৷

Buniadpur
বংশীহারী

By

Published : May 7, 2020, 9:08 PM IST

বংশীহারী, 7 মে : কয়েক মাস আগে ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন ৷ কোরোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর সেখানেই আটকে যান ৷ ভেবেছিলেন লকডাউন উঠে গেলে বাড়ি ফিরবেন ৷ কিন্তু লকডাউনের মেয়াদ বেড়ে যাওয়ায় তা হয়নি ৷ তাই সাইকেল চালিয়ে মুড়ি, চানাচুর নিয়ে উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে বুনিয়াদপুরে পৌঁছালেন 25 বছরের এক যুবক । এছাড়াও আজ রাজস্থান থেকে বাড়ি ফিরলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের পাঁচ শ্রমিক । তাঁদের প্রত্যেককেই কোয়ারানটিনে রাখা হয়েছে ৷

বুনিয়াদপুর পৌরসভার নারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন প্রায় ছয় মাস আগে কানপুরে কাজের জন্য গিয়েছিলেন । লকডাউনের কারণে যান চলাচল বন্ধ থাকায় বাড়ি ফিরতে পারছিলেন না ৷ অবশেষে সাইকেলেই বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন ৷ সেই মতো 25 তারিখে কানপুর থেকে তিনি রওনা হন এবং প্রায় 12 দিনের মাথায় আজ সকালে বাড়ি ফেরেন । এই 12 দিন খাবার বলতে ছিল শুধুমাত্র মুড়ি ও চানাচুর ৷ বাড়ি ফেরার পর এলাকার লোকজন ওই যুবককে রশিদপুর হাসপাতালে পাঠায় এবং সেখান থেকেই 14 দিনের কোয়ারানটিনে পাঠানো হয়েছে ।

এদিকে বংশীহারী ব্লকের গাংগুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগদুয়ার এলাকার প্রায় পাঁচ জন শ্রমিক কাজ করতে রাজস্থান গিয়েছিলেন । লকডাউন উঠে গেলে বাড়ি ফিরবেন বলে ভেবেছিলেন ৷ কিন্তু লকডাউনের মেয়াদ বেড়ে যাওয়ায় কালিয়াচকের কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে বাড়িতে ফেরেন । গ্রামের লোকজন তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ায় তাঁরা প্রথমে বংশীহারী থানায় আসেন এবং সেখান থেকে তাঁদের 14 দিনের কোয়ারানটিনে পাঠানো হয় ৷ ।

পাঁচজন শ্রমিকের মধ্যে সঞ্জয় রায় নামে একজন শ্রমিক বলেন , "আমরা সাত মাস আগে রাজস্থানে রাস্তা ঢালাইয়ের কাজ পাই । মার্চ মাসের শেষের দিকে কোরোনা ভাইরাসের জন্য শুরু হয় লকডাউন । লকডাউনের কারণে বাড়িতে আসতে পারছিলাম না । অবশেষে মালদা জেলার কালিয়াচকের কয়েকজন এবং আমরা সব মিলিয়ে মোট 34 জন সেখান থেকে একটি প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করি ৷ গাড়ি ভাড়া বাবদ আমাদের মোট 2 লাখ 22 হাজার টাকা দিতে হয় । আমরা এই কয়েক মাসে যা রোজগার করেছি তার বেশিরভাগ টাকাই খরচ হয়ে গেছে ৷"

তিনি আরও বলেন , "আমরা গাংগুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট পাঁচজন শ্রমিক আজ সকালে গাজোল পর্যন্ত বাসে করে আসি এবং সেখান থেকে হেঁটে বংশীহারী ব্লকের দৌলতপুরে পৌঁছাই । এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য সকালবেলা রশিদপুর হাসপাতালে আসি । রশিদপুর হাসপাতালে পরীক্ষা করে আমাদের 14 দিনের জন্য কোয়ারানটিন সেন্টারে পাঠায় ।"

রশিদপুর হাসপাতালের BMOH পুলকেশ সাহা বলেন , "আজ সকালে আমাদের রশিদপুর হাসপাতালে ভিনরাজ্য থেকে মোট ছয়জন শ্রমিক আসে । সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের 14 দিনের জন্য কোয়ারানটিন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details