গ্রামের পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস, বিজেপির পাশে তৃণমূল

ধল পাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানের বিরুদ্ধে বিজেপি সদস্যদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব পাস হল শুক্রবার। বিজেপির ডাকা অনাস্থায় সমর্থন তৃণমূলের। উপপ্রধান দীপক সাহা বলেন," তাঁর বিরুদ্ধে প্রচুর দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছিল । তবে বোর্ড তৃণমূলেরই থাকবে । "

হিলি, 9 জুলাই : তৃণমূল পরিচালিত দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি ব্লকের ধল পাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানের বিরুদ্ধে বিজেপি সদস্যদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব পাস হল শুক্রবার। বিজেপির ডাকা অনাস্থায় সমর্থন তৃণমূলের। এদিকে বিজেপির দুই সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায়, প্রধান পাল্টে গেলেও বোর্ড থাকছে তৃণমূলেরই হাতে ।

22 জুন ধল পাড়া পঞ্চায়েত প্রধান শেফালী বর্মনের বিরুদ্ধে হিলি সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব পত্র জমা দেন বিরোধী দলনেতা মৃণাল সরকার। প্রধানের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ, দুর্নীতির মতো অভিযোগ তুলে অনাস্থার প্রস্তাবের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যরা।

ধলপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট সদস্য 14 ৷ এর মধ্যে এর মধ্যে তৃণমূলের 8 ও বিজেপির 6 সদস্য নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন ৷ এরমধ্যে বিজেপির একজন সদস্য মারা গিয়েছেন। এছাড়ও বিজেপির দুই সদস্য পার্থ রায় ও মৃণাল সরকার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন । বর্তমানে বিজেপির সদস্য 3 জন ।

শুক্রবারের ভোটাভুটিতে পঞ্চায়েত প্রধান শেফালী বর্মন অনুপস্থিত ছিলেন। প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব 12 - 0 ধ্বনি ভোটে পাস হয়। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় মোতায়েন ছিল পুলিশবাহিনী।

বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সদস্য মৃণাল সরকার বলেন, " দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন কারণে পঞ্চায়েতে সঠিকভাবে কাজ করা যাচ্ছে না। সেই কারণেই আমরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছি মানুষের কাজ করার জন্য। উপপ্রধান দীপক সাহা বলেন," প্রধান কারও সঙ্গে আলোচনা না করে ইচ্ছামত কাজ করতেন। মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে প্রচুর দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছিল । তবে বোর্ড তৃণমূলেরই থাকবে । আস্থা ভোটে তৃণমূলই জিতবে ।"