বালুরঘাট, 22 মে: থার্মাল স্ক্রিনিং করতে করতেই রাত হয়ে গেছিল । তারপর দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা । গাড়ি না পেয়ে অবশেষে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেই খাসপুর থেকে হেঁটে বালুরঘাটের দিকে রওনা দিলেন প্রায় 100জন ভিন রাজ্যে থেকে ফেরা শ্রমিক । ওই শ্রমিকরা রাজস্থান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন । ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে ভিজলে পরে আরও শরীর খারাপ হতে পারে । বিষয়টি জানতে পেরেই ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন ।
নেই বাস, ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাড়ির পথে শ্রমিকরা - balurghat news
শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হতে হতে রাত হয়ে যায় । এরপর আর নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য ফেরার গাড়ি মেলেনি । অগত্যা ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়েই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেন 100জন শ্রমিক । তাঁরা সবাই রাজস্থান থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরে ফিরেছেন ।
লকডাউনের কারণে ভিন রাজ্যে আটকে পড়েছিলেন ওই শ্রমিকরা । দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রুজি-রোজগার । এই অবস্থায় শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার । লকডাউনের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় প্রায় 10 হাজারের কাছাকাছি শ্রমিক ফিরে এসেছেন । গতকাল রাজস্থান থেকে দু'টি বাসে করে প্রায় 100জন শ্রমিক জেলায় ফিরে আসেন । এদিকে বাড়ি ফেরার আগে সব শ্রমিকদের শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় খাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে । সেখানেই তাঁদের থার্মাল স্ক্রিনিং হয় । থার্মাল স্ক্রিনিং শেষ হতে অনেকটাই রাত হয়ে যায় । শারীরিক পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার গাড়ি না পাওয়ায় সমস্যায় পড়ে যান শ্রমিকরা । অগত্যা ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেই ব্যাগপত্র মাথায় নিয়ে ভিজতে ভিজতে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা ।
অন্যদিকে, বেশ কয়েকজন শ্রমিক যেতে পারেননি । তাঁরা পাগলিগঞ্জে রাস্তার পাশে থাকা দোকানের শেডে আশ্রয় নেন । শ্রমিকদের থার্মাল স্ক্রিনিং করার পর নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা । এক্ষেত্রে শ্রমিকদের গন্তব্যস্থানে না পৌঁছানোর আগেই বাস চলে যাওয়ায় উঠছে প্রশ্ন । এই বিষয়ে অপেক্ষারত শ্রমিকরা জানান, তাঁরা রাজস্থান থেকে বাড়ি ফিরছেন । খাসপুর হাসপাতলে তাঁদের থার্মাল স্ক্রিনিং হয়েছে। এরপর গাড়ি না পাওয়ায় কয়েকজন ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেই রওনা দিয়েছেন । এদিকে বিষয়টি নজরে আসতেই ওই শ্রমিকদের গাড়ি করে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন ।