বালুরঘাট, 28 এপ্রিল: বালুরঘাট নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রকে আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে । সেখানকার রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস, খাবার সহ চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে গিয়ে ফেলা হচ্ছে জনবসতি এলাকায়। মঙ্গলবার বিষয়টি নজরে আসতেই বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে বালুরঘাট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও বালুরঘাট থানার পুলিশ। পুলিশ অকারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। এরফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে । পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
কোরোনা মোকাবিলা বালুরঘাট ব্লকের ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের চকবাখার এলাকায় থাকা নাট্যউৎকর্ষ কেন্দ্রকে আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। এই আইসোলেশন সেন্টারে 100 টি বেড রয়েছে। অভিযোগ, আইসোলেশন সেন্টারে রোগী ও স্বস্থ্যকর্মীদের ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস, খাবার সহ অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এদিন বিষয়টি নজরে আসতেই স্থানীয় বাসিন্দারা স্বাস্থ্যকর্মীদের এইসব বস্তু ওই এলাকায় ফেলতে নিষেধ করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আপত্তির কথা জানতে পেরে স্বাস্থ্য কর্মীরা সরিয়ে ফেলবেন বলে জানান। অভিযোগ, এরপর ঘটনাস্থানে যায় বালুরঘাট থানার পুলিশ। পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে খরাপ ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। এমনকী, হুমকিও দেয়। এরপরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন সরকার ও লতিদেবী কামেত জানান," রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস সহ অন্যান্য জিনিস ফেলা হচ্ছিল জনবসতিপূর্ণ এলাকায়। এর প্রতিবাদ করায় এইসব নোংরা সামগ্রী তুলে নিয়ে যাবেন বলে জানান স্বাস্থ্যকর্মীরা। এদিকে স্বাস্থ্যকর্মীরা চলে যেতেই ঘটনাস্থানে আসে পুলিশ। পুলিশ তাঁদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হুমকি দেয়।"
আইসোলেশন সেন্টারের মাস্ক-গ্লাভস ফেলা হচ্ছে জনবসতি এলাকায়, ক্ষোভ বালুরঘাটে
রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস, খাবার সহ চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে গিয়ে ফেলা হচ্ছে জনবসতি এলাকায়। মঙ্গলবার বিষয়টি নজরে আসতেই বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে বালুরঘাট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও বালুরঘাট থানার পুলিশ। পুলিশ অকারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে । পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
জনবসতি
যদিও এবিষয়ে DSP হেড কোয়ার্টার ধীমান মিত্র জানান, "খবর পেয়ে সেখানে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য অধিকারিকরা গিয়েছিলেন। তাঁরা এই বিয়টি ভালো বলতে পারবেন।" তবে পুলিশের খারাপ ব্যবহার বা হুমকি সংক্রান্ত এমন কোন বিষয় তাঁর জানা নেই, বলেন ধীমানবাবু।