তপন, 3 জুন: রেলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে উদ্ধারকার্য সম্পূর্ণ হয়েছে ৷ তবে বহু মানুষ এখনও প্রিয়জনের কণ্ঠস্বর শোনার প্রতীক্ষায় ৷ বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে এক এক করে আসছে মৃত্যুসংবাদ এবং নিখোঁজের খবর ৷ যেমন নিখোঁজ দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার গঙ্গারামপুর গ্রামের চন্দন রায় এবং তাঁর আত্মীয় নিত্যম রায় ৷ নিত্যম মালদহের বামনগোলার বাসিন্দা ৷ পরিবার সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী করমণ্ডলে চেপে দু'জনে কেরল যাচ্ছিলেন কাজের খোঁজে ৷ কিন্তু মাঝপথেই দুর্ঘটনার মুখে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ৷ তারপর থেকেই আর খোঁজ মিলছে না কারওরই ৷
পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল সন্ধে ছ'টার সময় শেষবার নিত্যমের সঙ্গে কথা হয় তাঁদের ৷ এরপর করমণ্ডল এক্সপ্রেস বিপর্যয়ের মুখে পড়ার পর থেকে আর কারোর সঙ্গেই কোনও যোগাযোগ করা যায়নি ৷ চন্দনের ফোন স্যুইচড অফ আর নিত্যমের ফোনে ফোন করা হলে অচেনা কেউ একজন সেই ফোনটি রিসিভ করেন ৷ জানান, যাঁকে ফোন করা হচ্ছে তিনি আর বেঁচে নেই ৷ বিষয়টি জানাজানি হতেই ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার ৷ তবে নিত্যমের মৃত্যু যে হয়েইছে, সে সম্পর্কে নিশ্চয়তা কোথায়?
খবর পেয়ে শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে আসে তপন থানার পুলিশ ৷ বিজেপির স্থানীয় নেতারাও আসেন ঘটনার খোঁজ নিতে । এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, "শুক্রবার করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার মুখে পড়ায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বেশ কয়েকজন শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন। তার মধ্যে তপন থানার গঙ্গারামপুর গ্রামের দু'জন শ্রমিকেরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না । আমরা জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের খোঁজ খবর চালাচ্ছি ।"