সবুজ কেড়েছে আমফান, 60 হাজার হেক্টর জমিতে বৃক্ষরোপণে উদ্যোগী বনদপ্তর
দক্ষিণ দিনাজপুর মূলত কৃষি নির্ভরশীল জেলা । তেমন বনাঞ্চল না থাকলেও বনদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রত্যেক বছর বৃক্ষরোপণ করা হয় । সেই বৃক্ষ বড় না হওয়া পর্যন্ত দেখভাল করা হয় । কিন্তু, আমফানের দাপটে নষ্ট হয়েছে গাছ । জেলায় নতুন করে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে বদনিভাগ ।
বালুরঘাট, 24 জুন : এমনিতেই জেলায় তেমন বনাঞ্চল নেই ৷ যেটুকু ছিল আমফানের দাপটে তাও নষ্ট হয় গেছে ৷ স্বাভাবিকভাবেই এর প্রভাব পড়বে পরিবেশের উপর ৷ তাই প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে দক্ষিণ দিনাজপুরের 60 হাজার হেক্টর জমিতে বৃক্ষরোপণ করতে চলেছে বনদপ্তর । ইতিমধ্যেই জেলার কয়েকটি জায়গায় প্রাথমিকভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে । মূলত সরকারি জমি ও রাস্তার দু'পাশে বৃক্ষরোপণ করা হবে । এছাড়াও পঞ্চায়েত ও পৌর এলাকাতেও এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি করা হবে ।
দক্ষিণ দিনাজপুর মূলত কৃষি নির্ভরশীল জেলা । তেমন বনাঞ্চল না থাকলেও বনদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রত্যেক বছর বৃক্ষরোপণ করা হয় । সেই বৃক্ষ বড় না হওয়া পর্যন্ত দেখভাল করা হয় । জেলায় প্রায় 400 হেক্টর জমিতে গাছপালা রয়েছে । তবে সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় আমফানের কারণে নষ্ট হয়েছে কয়েক হাজার গাছ । এই ক্ষতিপূরণের জন্য এবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে জেলা বনদপ্তর । জেলাজুড়ে মোট 60 হেক্টর জমিতে গাছ লাগানো হবে ৷ জেলার 511 নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে গাছ যথেষ্ট রয়েছে ৷ সেখানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তেমন নয় ৷ তাই এবারের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে এই জাতীয় সড়ককে ধরা হয়নি । বরং ক্ষয়ক্ষতি পূরণে রাজ্য সড়ক ও জেলা পরিষদের রাস্তাগুলিকে বাছাই করা হয়েছে ৷ খাড়ির বাঁধগুলিতেও গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে বনদপ্তর । বিশেষ করে সরকারি ফাঁকা জায়গায়গুলিতে বৃক্ষরোপণ করা হবে । একেবারে ছোটো সাইজের গাছ নয় বরং এক বছর বয়সী গাছ লাগানো হবে । 60 হেক্টর জমিতে লাগানো হবে 37 হাজার 500টি গাছ । এছাড়াও নতুন নির্দেশিকায় জেলায় 2 লাখের বেশি গাছ লাগানো হবে । সেখানে জারুল, শিশু, মেহগনি, শাল, সেগুন যেমন থাকবে তেমনই ছোটো ও মাঝারি সাইজের ফলের গাছ যেমন জাম, পেয়ারা, কদম ইত্যাদিও লাগানো হবে । ফুলের গাছও লাগানো হবে ।