বালুরঘাট, 12 মার্চ : কয়েকদিন আগেই ইয়েস ব্যাঙ্কের টালমাটাল অবস্থা প্রকাশ্যে আসে ৷ ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কের কর্নধারকে গ্রেপ্তার করেছে ED । অল্পের জন্য বেঁচে গেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা খাদ্য দপ্তর । কারণ মাসকয়েক আগেই জেলা খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে ওই ব্যাঙ্কের সঙ্গে লেনদেন পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ তা না হলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হত জেলার কয়েক হাজার কৃষককে ৷
ইয়েস ব্যাঙ্কের সঙ্গে লেনদেন বন্ধ করে রক্ষা বহু কৃষকের
ডিসেম্বর মাস থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকের দেওয়া একাধিক চেক বাউন্স হয়ে যায় । ঠিক তখনই ইয়েস ব্যাঙ্কের সঙ্গে প্রায় 1 হাজার কোটি টাকার লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয় জেলা খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে ।
জানা গেছে, গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকেই ইয়েস ব্যাঙ্কের টালমাটাল অবস্থা শুরু হয় । দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদের দেওয়া প্রায় 22টি চেক বাউন্স হয়ে যায় । যদিও সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাঙ্কের নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে 1 হাজার কোটি টাকা আগেই রাখা হয়েছিল । তাহলে চেক বাউন্স হয় কী করে ? বিষয়টি জানতে পেরেই জেলা খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পুরো বিষয়টি জানানো হয় । এরপর ডিসেম্বর মাসেই নির্দেশিকা জারি করে ইয়েস ব্যাঙ্কের সঙ্গে সম্পূর্ণ লেনদেন বন্ধ করে দেয় জেলা খাদ্য দপ্তর । আর এতেই জোর বাঁচা বেঁচে যায় জেলা খাদ্য দপ্তর । বর্তমানে এখন অন্য একটি ব্যাঙ্কের সঙ্গে চুক্তি করে কৃষকদের চেক প্রদান করা হচ্ছে । সেক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হচ্ছে না জেলা খাদ্য দপ্তরের । এদিকে এখনও জেলা খাদ্য দপ্তরের কাছে চার থেকে পাঁচ হাজার চেক রয়েছে ইয়েস ব্যাঙ্কের ।
এবিষয়ে জেলা খাদ্য দপ্তর আধিকারিক জয়ন্ত কুমার রায় জানান, ‘‘চলতি অর্থবছরে 1 লাখ মেট্রিকটন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল জেলা খাদ্য দপ্তর । এখনও পর্যন্ত প্রায় 72 হাজার মেট্রিকটন ধান কৃষকদের কাছ থেকে কিনেছে জেলা প্রশাসন । 39 হাজার 781 জন উপভোক্তার কাছ থেকে এই ধান সংগ্রহ করা হয়েছে । এদের সকলকেই চেকের মাধ্যমে টাকা প্রদান করা হয়েছে । রাজ্য খাদ্য দপ্তরের চুক্তি অনুযায়ী জেলার কৃষকদের ইয়েস ব্যাঙ্কের চেক প্রদান করা হত । গত ডিসেম্বর মাসেই জেলার 22 জন কৃষকের চেক বাউন্স হয়ে যায় । ওই সময় প্রত্যেকদিন গড়ে 7-8 চেক বাউন্স হয়েছিল । এরপরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পুরো বিষয়টি লিখিত আকারে জানান । ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত ডিসেম্বর মাসেই ইয়েস ব্যাঙ্কের সঙ্গে সম্পূর্ণ লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয় । বর্তমানে যে অবস্থা চলছে সেই জায়গা থেকে তাঁরা বরাত জোরে বেঁচে গেছেন । তা না হলে জেলার কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতেন ।