Died by Electrocution: বৃষ্টিতে কাপড় তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু বাবা-ছেলের

বৃষ্টির সময় জামা কাপড় তুলতে গিয়ে বৈদ্যুতিন তার থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল বাবা ও ছেলের ৷ মা ভর্তি হাসপাতালে ৷

গঙ্গারামপুর, 28 জুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল বাবা ও ছেলের । আহত মা । বুধবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে গঙ্গারামপুর শহরের হাইস্কুলপাড়া এলাকায় । এই ঘটনায় চিৎকার চেঁচামচির জেরে পথচলতি মানুষ ও প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন । তড়িঘড়ি তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বাবা ও ছেলেকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।

গঙ্গারামপুর পৌরসভার 11 নম্বর ওয়ার্ডের হাইস্কুলপাড়ার বাসিন্দা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার বিকেলে বৃষ্টির সময় উঠোনে মেলে দেওয়া কাপড় তুলতে যান। উঠোনে কাপড় মেলবার লোহার তারের সঙ্গে বৈদ্যুতিক তারের সংযোগ ঘটার ফলে তপনবাবু বিদ্যুৎপৃষ্ট হন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় ছেলে তন্ময়ও। পরবর্তীতে স্বামী ও ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হন তাপসী বন্দ্যোপাধ্যায় । এরপর চিৎকার চেঁচামচির জেরে পথ চলতি মানুষ ও প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন । সেইসঙ্গে তড়িঘড়ি তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দু'জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । মৃতদের নাম তপন বন্দ্যোপাধ্যায় (70) ও তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় (30) ৷ আহত গৃহবধূর নাম তাপসী চট্টোপাধ্যায় ৷ বর্তমানে তিনি গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ।

এই বিষয়ে পথচলতি স্থানীয় বাসিন্দা রঞ্জন দাস বলেন, "আমি বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম সেই সময় ভিতর থেকে চিৎকার শুনতে পাই ৷ এসে এই অবস্থা দেখে বাড়ির কাকিমাকে আমি বাঁশ দিয়ে সরাই ৷ সেই সময় প্রতিবেশী এক বৌদি এসে কাকিমাকে ধরে এবং পরবর্তীতে দেখি কাকু ও তার ছেলে আটকে রয়েছে ৷ তাঁদেরকেও আমি বাঁশ দিয়ে সরাই এবং ততক্ষণে প্রচুর লোকজন জমে যায় ৷ তৎক্ষণাৎ তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসারা মৃত বলে ঘোষণা করেন বাবা ও ছেলেকে ।

এই বিষয়ে গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, গঙ্গারামপুর থানার হাইস্কুল পাড়া এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় বাবা ও ছেলের ৷ আহত মা । আগামিকাল ময়নাতদন্তের জন্য বাবা এবং ছেলের মৃতদেহ পাঠানো হবে বালুরঘাটে । সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ ।