বংশীহারি, 26 অক্টোবর : আসছে আলোর উৎসব ৷ আর কয়েকদিন পরেই রকমারি আলোয় সেজে উঠবে চারিদিক ৷ তবে প্রযুক্তির ব্যবহারে হার মেনেছে কায়িক শ্রম ৷ হাতে তৈরি সাধারণ মাটির প্রদীপের জায়গা নিয়েছে চিনা লাইট ৷ দোকানে বিক্রি হচ্ছে সেইসব টুনি লাইট ৷ ঝিকমিক করা সেই নজরকাড়া আলোই বেশি টানছে ক্রেতাদের ৷ কারণ প্রদীপ জ্বালাতে গেলে সরষের তেল, সলতে এসবেরও প্রয়োজন ৷ তাই ঝক্কি এড়াতে এখন বাজারচলতি রকমারি বৈদ্যতিক লাইটের উপরেই বেশি ঝুঁকছে আম বাঙালি ৷
তবুও এই বাজারে টিকে থাকার লড়াইয়ে হার মানতে রাজি নন বংশীহারির বুনিয়াদপুর পৌরসভার 9নং ওয়ার্ডের পালপাড়ার বাসিন্দা দুলালী পাল ৷ আগে সাধারণ মাটির প্রদীপ বানালেও তার এখন আর অত চাহিদা নেই ৷ চার বছর আগে ইউটিউবে ডিজাইনার প্রদীপ বানানোর ভিডিয়ো নজরে আসে ৷ তারপর থেকে নিজেই তা দেখে বাড়িতে বসেই ডিজাইনার প্রদীপ তৈরি করছেন ৷ ইতিমধ্যেই প্রদীপ তৈরিতে বেশ হাত পাকিয়েও ফেলেছেন তিনি ৷ তাঁর তৈরি প্রদীপ ইতিমধ্যেই পাড়ি দিয়েছে মহারাষ্ট্র, নাগপুর ও রাঁচিতে ৷ এ রাজ্যে এই ডিজাইনার প্রদীপের তেমন চাহিদা না থাকলেও ভিনরাজ্যে এর বেশ কদর রয়েছে বলে জানান মৃৎশিল্পী দুলালী পাল ৷
আরও পড়ুন :অন্ধ্রপ্রদেশের এই গ্রামে দীপাবলিতে 200 বছর জ্বলেনি প্রদীপ
প্রদীপ পুড়িয়ে শক্ত করার জন্য আলাদা ভাটি তৈরি করেন বাড়িতে । মাটি নরম করে, ছাঁচে প্রদীপ বানিয়ে, আগুনে পুড়িয়ে, রং করে রোদে শুকানো ৷ সবটাই নিজের হাতে করেন দুলালীদেবী । প্রথম বছর নাগপুর ও মহারাষ্ট্র মিলিয়ে প্রায় সাত হাজার প্রদীপ বিক্রি করেছিলেন তিনি । এই প্রদীপ বিক্রি করেই সংসারের হাল ধরেছেন দুলালী ৷ কিন্তু করোনা আবহে দু'বছর চাহিদা না থাকায় খুব কম সংখ্যক প্রদীপ বানিয়েছিলেন বলে জানান তিনি ৷