বালুরঘাট, 9 এপ্রিল: আরও উন্নত পরিষেবা দিতে এবার বালুরঘাট কোরোনা হাসপাতালে চালু হতে চলেছে CCU পরিষেবা। কয়েক দিনের মধ্যেই কোরোনা হাসপাতালে তিনটি CCU বেড চালু করা হবে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও একাধিক অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি যুক্ত হতে চলেছে রঘুনাথপুরের কোরোনা হাসপাতালে। এমনকী নতুন করে আরও 50টি কোরোনা পরীক্ষার কিট পেতে চলেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
এবার বালুরঘাট কোরোনা হাসপাতালে চালু হতে চলেছে CCU পরিষেবা
বালুরঘাট কোরোনা হাসপাতালে চালু হতে চলেছে CCU পরিষেবা ৷ এই হাসপাতালে এতদিন কোরোনা আক্রান্ত সন্দেহের রোগীদের রাখা হচ্ছিল। এবার এই হাসপাতালের পরিকাঠামো গুছিয়ে তুলতে নজর দিয়েছে প্রশাসন ৷
প্রথমদিকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোয়ারানটাইন সেন্টার এবং বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশে বালুরঘাট হাসপাতাল থেকে সরিয়ে রঘুনাথপুর এলাকার একটি বেসরকারি চক্ষু পরীক্ষা কেন্দ্রে তৈরি করা হয়েছে কোরোনা হাসপাতাল। এই হাসপাতালেই এতদিন কোরোনা আক্রান্ত সন্দেহে রোগীদের রাখা হচ্ছিল। এবার ওই হাসপাতালের পরিকাঠামো গুছিয়ে নিতে নজর দিয়েছে প্রশাসন। ওই হাসপাতালে যেমন গড়ে তোলা হচ্ছে CCU ইউনিট, তেমনি রাখা হচ্ছে দুটি মাল্টি চ্যানেল মনিটর। এছাড়াও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীদের জন্য অত্যাধুনিকমানের নেবুলাইজার, বুকের ডিজিটাল এক্স-রের জন্য পোর্টেবল মেশিন, ECG মেশিন ছাড়াও নানা যন্ত্রপাতি রাখা হচ্ছে। এদিকে আজ থেকে মালদা মেডিকেল কলেজেই সোয়াব পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে ৷ এখন থেকে রিপোর্টও আরও তাড়াতাড়ি মিলবে বলে আশা জেলা স্বাস্থ্যকর্তাদের।
এদিকে জেলার আরও তিনজনের সোয়াব টেস্টের জন্য নমুনা উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। ওই তিনজনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এর ফলে জেলা থেকে পাঠানো 8 জনের সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এল বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর। এবিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ সুকুমার দে জানান, ‘‘জেলায় কোরোনা আক্রান্ত কেউ নেই। তবুও সচেতনতা প্রচার ও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ চালানো হচ্ছে ৷ কোরোনা হাসপাতালে চালু করা হচ্ছে তিন বেডের CCU ইউনিট। এছাড়াও উন্নত পরিষেবা দিতে একাধিক যন্ত্রপাতি থাকছে কোরোনা হাসপাতালে।’’