বালুরঘাট, 16 জুন : করোনা অতিমারিতে সারা রাজ্যে তথা জেলাগুলিতে করোনা পীড়িতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে একাধিক সংগঠন, ক্লাব, স্কুল । এবার বালুরঘাট মহিলা মহাবিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে করোনা পীড়িতদের জন্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের হাতে তুলে দেওয়া হল একটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও কিছু পিপিই কিট । মঙ্গলবার সকালে কলেজের অধ্যক্ষ বিমান চক্রবর্তী ও অন্যান্য অধ্যাপকরা এসে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে এই চিকিৎসার সরঞ্জাম তুলে দেন।
বালুরঘাট মহিলা মহাবিদ্যালয়ের তরফে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হাতে অক্সিজেন-পিপিই
বালুরঘাট মহিলা মহাবিদ্যালয়ের তরফে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হলো একটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও ১৪টি পিপিই কিট ৷ মঙ্গলবার কলেজের অধ্যক্ষ বিমান চক্রবর্তী ও অন্যান্য অধ্যাপকরা এসে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে এই চিকিৎসা সরঞ্জাম তুলে দেন।
সেই অর্থে জেলায় অক্সিজেনের অভাব না দেখা দিলেও তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পরার আশঙ্কা করছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সেই উদ্দেশ্যেই অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর কাজ চলছে গঙ্গারামপুর ও বালুরঘাট হাসপাতালে । বালুরঘাট মহিলা মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন কর্তৃপক্ষ ও অধ্যাপকরা সিদ্ধান্ত নেন তাদের চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনে দেওয়ার জন্যে। কলেজের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীরা নিজেদের অর্থ দিয়ে করোনা পীড়িতদের জন্য একটি ফান্ড তৈরি করেন, প্রায় আশি হাজার টাকা খরচ করে এই জিনিসগুলি দেওয়া হয় স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নের স্বার্থে।
বালুরঘাট মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বিমান চক্রবর্তী জানান, "করোনার প্রথম পরিস্থিতিতে কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে 1 লক্ষ 25 হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। এদিন সামাজিক দায়বদ্ধতার জন্যে কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের হাতে একটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও ১৪টি পিপিই কিট তুলে দেওয়া হয়।"
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে জানান, "জেলায় অক্সিজেনের অভাব নেই। তবুও ভাল পরিষেবা দিতে কিছু কিছু সংগঠন আমাদের সাহায্য করছে নানা সরঞ্জাম দিয়ে। এদিন বালুরঘাট মহিলা মহাবিদ্যালয়ের তরফে একটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর তুলে দেন। এতে চিকিৎসার সুবিধা হবে ৷ রোগীদের অক্সিজেন দিলে সে সিলিন্ডার শেষ হয়ে গেলে আবার বদলে নতুন সিলিন্ডার লাগাতে হয় কিন্তু এই অক্সিজেন কনসেনট্রেটর নিজে থেকেই অক্সিজেন তৈরি করবে এবং রোগীকে সরবরাহ করবে ৷"