পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

পণের দাবিতে খুন যুবতি, পলাতক অভিযুক্ত স্বামী - Dowry

অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ওই বাকি জিনিসপত্রের জন্য গৃহবধূকে অত্যাচার করত । এ নিয়ে ওই গৃহবধূ তার বাপের বাড়িতে জানায় । তার বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে জানানো হয় লকডাউন উঠলেই সব দিয়ে দেওয়া হবে ।

পণ না পেয়ে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ, পলাতক অভিযুক্ত স্বামী ও তার পরিবার
পণ না পেয়ে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ, পলাতক অভিযুক্ত স্বামী ও তার পরিবার

By

Published : May 10, 2020, 8:19 PM IST

তপন, 10 মে: প্রতিশ্রুতিমতো সোনা ও আসবাবপত্র না দেওয়ায় বিয়ের দু'মাসের মধ্যেই স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে । শনিবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে বালুরঘাটের তপন থানার হরসুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিন্নাকুড়ি এলাকায় । মৃত গৃহবধূর নাম বেবি দাস (19)। তার বাপের বাড়ি বোল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর শিবরামপুর এলাকায় । এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী স্বপন মেহেরা পলাতক । মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে তপন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

দু'মাস আগে বালুরঘাট ব্লকের বোল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর শিবরামপুর এলাকার বাসিন্দা প্রফুল্ল দাসের মেয়ে বেবি দাসের সঙ্গে তপনের বিন্নাকুড়ির পেশায় দুধ ব্যবসায়ী স্বপন মেহেরার বিয়ে হয় । বিয়েতে ছেলের বাড়ির পক্ষের দাবি মত নগদ টাকা, মোটরবাইক, সোনা-সহ অন্যান্য আসবাবপত্র দেওয়া হয় । তারপরও প্রায় এক ভরি সোনা ও একটি শো-কেস দেওয়া বাকি ছিল । অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ওই বাকি জিনিসপত্রের জন্য গৃহবধূকে অত্যাচার করত । এ নিয়ে ওই গৃহবধূ তার বাপের বাড়িতে জানায় । বেবির বাড়ির তরফে জানানো হয় লকডাউন উঠলেই সব দেওয়া হবে । কিন্তু তা সত্ত্বেও পণের বাকি সামগ্রী না পাওয়ায় বারবার গৃহবধূর উপর অত্যাচার করা হত । আর এই কারণেই ওই মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন পরিবারের লোকেরা । ঘটনার পর মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি । এতে সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়েছে ।

এ বিষয়ে মৃতের বাবা প্রফুল্ল দাস বলেন, "বিয়ের সময় পণের যা পাওনা ছিল, তার সবই মিটিয়েছিলাম । শুধুমাত্র এক ভরি সোনা ও একটি শোকেস দিতে পারিনি । তার জেরেই মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে অশান্তি হতে এবং মেয়ের উপর অত্যাচার করত । মেয়েকে বুঝিয়ে বলেছিলাম, লকডাউন পেরোলে বাকিটা মিটিয়ে দিব ৷ কিন্তু কাল সকালে জানতে পারলাম আমার মেয়ে আর নেই । শ্বশুরবাড়ি গিয়ে দেখি মেয়ের মৃতদেহ ঝুলছে । আর শ্বশুরবাড়ির সবাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে । আমার মেয়ের মৃত্যুর বিচার ও অপরাধীদের শাস্তি চাই ।"

অন্যদিকে এবিষয়ে তপন থানার OC সৎকার সাংবো বলেন, "একটি অভিযোগ পেয়েছি । এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি । পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details