মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে প্রায় 25 লাখ টাকা জমা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ সাহায্য করছে ৷ এপ্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয় , ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা করার জন্য 25 লাখ টাকা অর্থ সঞ্চিত হয়েছে । জেলাবাসী আগ্রহভরে অর্থ দান করছেন । গর্বের বিষয় , এই বিপদের দিনে একটি আট বছরের শিশু তার বাড়িতে জমানো অর্থ রাশি (225 টাকা) জেলা শাসকের হাতে তুলে দিয়েছেন এবং তার সহপাঠীদের এই দানে উদ্বুদ্ধ করেছে ।
বালুরঘাট , 4 এপ্রিল : কোরোনা মোকাবিলায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে 25 লাখ টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তুলে দেওয়া হয়েছে । প্রত্যেকদিনই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন সংগঠন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ সাহায্য করছেন । জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রত্যেকদিন টাকা জমা পড়ছে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শাসকের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের জন্য 1 লাখ 25 হাজার টাকা ব্যক্তিগতভাবে তুলে দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ । এছাড়াও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর মণ্ডল 50 হাজার টাকা , বালুরঘাট শহরে তৃণমূলের সভাপতি সুভাষ চাকি 15 হাজার , বালুরঘাট শহর তৃণমূল যুব কলেজের সভাপতি মহেশ পারেখ 16 হাজার , বালুরঘাট শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি অমরনাথ ঘোষ 10 হাজার টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তুলে দেন । এছাড়াও দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারাও সাধ্যমতো অর্থ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে প্রদান করেন ।
আজ জেলা শাসকের হাতে দক্ষিণ দিনাজপুর এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের তরফ থেকে 1 লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয় । পতিরাম নাগরিক ও যুব সমাজের পক্ষ থেকে বিশ্বজিৎ প্রামাণিক 25 হাজার টাকার চেক সদর মহকুমা শাসকের হাতে তুলে দেন । চকভৃগু বিদ্যাসাগর সোশাল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সম্পাদক শিবশঙ্কর চৌধুরি 10 হাজার টাকা তুলে দেন । দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে আড়াই লাখ টাকার চেক মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তুলে দেওয়া হয় । অন্যদিকে , টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে বালুরঘাট কলেজর NCC ইউনিটের পড়ুয়ারা 3 হাজার টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তুলে দেন । আজ, পড়ুয়াদের সেই 3 হাজার টাকা জেলা প্রশাসকের হাতে তুলে দেন বালুরঘাট কলেজের অধ্যাপক দুলাল বর্মণ ।
অন্যদিকে , হরিরামপুর বিধানসভার বিধায়ক রফিকুল ইসলাম স্বাস্থ্যকর্মীসহ জরুরি বিভাগের সঙ্গে যুক্তদের সুরক্ষার জন্য বিধায়ক তহবিল থেকে 10 লাখ টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তুলে দেন । বালুরঘাটের রাধেশ্যাম সংস্থা 10 হাজার টাকা তুলে দেয় ৷
এই বিষয়ে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয় , ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা করার জন্য 25 লাখ টাকা অর্থ সঞ্চিত হয়েছে । জেলাবাসী আগ্রহভরে অর্থ দান করছেন । গর্বের বিষয় , এই বিপদের দিনে একটি আট বছরের শিশু তার বাড়িতে জমানো অর্থ রাশি (225 টাকা) জেলা শাসকের হাতে তুলে দিয়েছে এবং তার সহপাঠীদের এই দানে উদ্বুদ্ধ করেছে ।