জয়নগর, 25 এপ্রিল: প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে / কে কোথা ধরা পড়ে, কে জানে ৷ কবির লাইনগুলো যেন আজকের যুগে অক্ষরে অক্ষরে সত্য়ি ৷ তবে এযুগের প্রেমের ফাঁদ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয় মরিচিকা ৷ অর্থাৎ যাকে প্রেম বলে মনে হলেও মিথ্যে ৷ যেমনটা ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনার জয়নগর থানার অর্ন্তগত একটি গ্রামে ৷ এক নাবালিকাকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে ৷
নাবালিকার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে সোশাল মিডিয়ায় হরিয়ানার পানিপথের এক যুবকের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল তাঁদের মেয়ের। এরপর দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকে কথোপকথন চলতে থাকে ৷ কথোপকথন ক্রমে রূপ নেয় প্রণয়ের ৷ চলতি মাসের 2 তারিখ ওই যুবকের কথায় ভরসা করেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ওই নাবালিকা ।
এরপরেই নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে জয়নগর থানায় 3 এপ্রিল নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে জয়নগর থানার পুলিশ । নাবালিকাকে উদ্ধারের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হয় । নাবালিকার আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলে অবশেষে সন্ধান মেলে হরিয়ানার মদন নামে ওই যুবকের । হরিয়ানার ওই যুবকের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ধরে অবশেষে দিল্লি এলাকা থেকে শনিবার নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে জয়নগর থানার পুলিশ । পাশাপাশি নাবালিকাকে অপহরণ করার অভিযোগে হরিয়ানার মদন নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে জয়নগর থানার পুলিশ । অভিযুক্ত ওই যুবককে দিল্লির একটি আদালতে পেশ করে জয়নগর থানার পুলিশ সেই আদালত থেকে তিন দিনের ট্রানজিস্ট রিমান্ডে নিয়ে আজ মঙ্গলবার বারুইপুর মহকুমার আদালতে পেশ করে অভিযুক্ত যুবককে ৷ ওই নাবালিকাকে হোমে পাঠায় জয়নগর থানার পুলিশ ।
আরও পড়ুন:প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে হরিয়ানা, প্রেমিক চম্পট দিতেই মা'কে ফোন নাবালিকার
নাবালিকার বাবা সুশান্ত সাপুই বলেন, "ফেসবুকের মাধ্যমে কয়েকদিন আগেই আমার মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় হরিয়ানার ওই যুবকের । নিজের নাম মদন বলে দাবি করেছিল ওই যুবক । এরপর প্রেমের ফাঁদে জড়িয়ে আমার মেয়েকে হরিয়ানায় নিয়ে চলে যায় ওই যুবক । আমরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর আমার মেয়ের সন্ধান পায়নি এরপর 3 এপ্রিল জয়নগর থানাতে একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করি । জয়নগর থানার পুলিশ তদন্তে নেমে দিল্লি থেকে অভিযুক্ত যুবক ও আমার মেয়েকে উদ্ধার করেছে । আমার মনে হয় যে ওই যুবক আমার মেয়েকে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে গিয়েছিল । জয়নগর থানার পুলিশ কর্মীকে অসংখ্য ধন্যবাদ পুলিশ কর্মীদের সহযোগিতায় আমার মেয়েকে আমি ফেরত পেয়েছি ।"