মহেশতলা, 13 নভেম্বর: অবোলা পশুর গায়ে চকোলেট বোমা ছোড়ার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ছেলে । ‘অপরাধ’ বলতে এ টুকুই ৷ তাতেই প্রাণে মারার হুমকি পাড়ার ‘দাদা’দের ৷ তাতে আতঙ্কিত হয়ে চরম রাস্তা বেছে নিলেন এক মহিলা ৷ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন তিনি ৷
কালীপুজোর সময়ের ঘটনা ৷ বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও আকাশে যেমন বাজির তাণ্ডব চলেছে, তেমনই রেহাই পায়নি পথকুকুররাও ৷ দক্ষিণ 24 পরগনার মহেশতলা পুরসভার 25 নম্বর ওয়ার্ডের বড়ুয়া পাড়াও সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি ৷
আরও পড়ুন:Narendrapur Attack : প্রকাশ্যে মদ্যপানের প্রতিবাদ করে আক্রান্ত মহিলা, প্রতিবেশী অন্তঃসত্ত্বাকেও মার
সেখানে একটি পথকুকুরের গায়ে কয়েক জন মিলে চকোলেট বোমা ছুড়ে মারেন বলে অভিযোগ ৷ কালীপুজোর ঠাকুর আনতে যাওয়ার পথে তা দেখে রুখে দাঁড়ান জয়ন্ত অধিকারী নামের এক যুবক ৷ কিন্তু উল্টে তাঁকেই মারধর করতে শুরু করে ওই দুষ্কৃতীর দল ৷
চিৎকার চেঁচামেচিতে সেই সময় পাড়াল ক্লাবের ছেলেরা ছুটে আসেন ৷ সকলে মিলে বিষয়টি মিটমাট হয়ে যায় ৷ কিন্তু সেই মুহূর্তে সব কিছু শান্ত হয়ে গেলেও, এর পর থেকেই দুষ্কৃতীর দল জয়ন্তকে লাগাতার শাসানি দিয়ে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের ৷
আরও পড়ুন:Royal Bengal Tiger : সুন্দরবনে ফের দক্ষিণরায়ের দর্শন, আপ্লুত পর্যটকরা
জয়ন্তর পরিবারের দাবি, ঘটনার পর দিনই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়িতে চড়াও হয় দুষ্কৃতীর দল ৷ বাড়ির দরজায় এলোপাথাড়ি লাথি মারে ৷ জয়ন্তকে খুন করার পাশাপাশি তাঁর মাকে ধর্ষণের হুমকিও দেয় ৷ বিষয়টি জানতে পেরে পদক্ষেপ করেন স্থানীয় তৃমমূল নেতা তারক সাহা ৷ পুলিশে খবর দেন তিনি ৷ পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করে নিয়ে যায় ৷
কিন্তু এই ঘটনার পর থেকেই জয়ন্তর মা শুনা অধিকারী (38) আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বলে দাবি পরিবারের ৷ জানা গিয়েছে, শুক্রবার বাড়িতে কেউ ছিল না ৷ সেই সময় সিলিং ফ্যানে শাড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি ৷ আতঙ্ক থেকেই তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে দাবি পরিবারের ৷ পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ৷
খবর পেয়ে মহেশতলা থানার পুলিশ শুনাদেবীর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় ৷ শনিবার এনিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জয়ন্তর বাবা কমল অধিকারী ৷ পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বটে ৷ তবে স্থানীয়দের দাবি, মূল অভিযুক্ত বাপি-সহ বেশ কয়েক জন ইতিমধ্যেই গা ঢাকা দিয়েছেন ৷