বকখালি, 29 নভেম্বর : একি স্বপ্ন না সত্যি ! পরণে আকাশি রঙা শাড়ি, মাথায় ঘোমটা দেওয়া মহিলাকে দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন উমাপদ বাউরি ৷ মাঝে 37টা বছর কেটে গিয়েছে ৷ দুই সন্তানকে মানুষ করতে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন ৷ প্রথম ও দ্বিতীয় পক্ষের ছেলেমেয়েদের নিয়ে ভরা সংসার ৷ কিন্তু প্রায় চার দশক পরও প্রথম স্ত্রী ভবানীকে চিনতে ভুল করেননি উমাপদবাবু ৷ মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় যিনি একদিন হারিয়ে গিয়েছিলেন (Ham radio helps woman reunite with family) ৷
ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলার কুমারদাগার বাসিন্দা উমাপদ বাউরির স্ত্রী ভবানী বাউরি ৷ দুই কন্যা সন্তানের মা ভবানী দেবী মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন না ৷ একদিন সবার অলক্ষ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ভবানী ৷ আর ফেরেননি ৷ ঘুরতে ঘুরতে এসে পৌঁছান দক্ষিণ 24 পরগনার বকখালিতে ৷ বাড়ি কোথায়, পরিবারে কে কে রয়েছেন, স্বামীর নাম- কিছুই বলতে পারেননি তিনি ৷ নামখানা ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় ভবঘুরের মতো দিন কাটাতেন ৷ অবশেষে বকখালি সমুদ্র সৈকত লাগোয়া এক ব্যবসায়ী তাঁকে আশ্রয় দেন ৷ বোনের মতো আগলে রাখতেন ৷ 25 বছর ধরে বকখালিই বাড়িঘর হয়ে উঠেছিল ভবানীদেবী ৷ বাণেশ্বর নামে ওই ব্যবসায়ী ও পরিবারের সেবা যত্নে আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ হয়ে ওঠেন ভবানী বাউরি ৷ স্মৃতিপটে নিজের বাড়িঘর ও পরিবারের ঝাপসা ছবিটা কাটিয়ে স্পষ্ট হয় ৷
আরও পড়ুন : চার দশকের বিচ্ছেদ ঘুচিয়ে ফের বন্ধুত্ব জুড়ল হ্যাম রেডিও