কলকাতা, 18 ডিসেম্বর: গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela 2023) মানেই লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় ৷ পুণ্যস্নানের উদ্দেশ্যে এই জমায়েত হলেও মেলার ক'দিন এখানে থাকা-খাওয়ারও বন্দোবস্ত থাকে ৷ সেক্ষেত্রে পুণ্যার্থীদের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে অস্থায়ী দোকানগুলিতে বিক্রি হওয়া খাবারের গুণগত মান কোনওভাবেই উপেক্ষা করার মতো বিষয় নয় ৷ আর সেই কারণেই রাজ্যের ফুড সেফটি কমিশনার মেলার দিনগুলিতে গঙ্গাসাগরে খাবারের গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য একটা ব্যবস্থাপনা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷ এই মর্মে নির্দিষ্ট নির্দেশাবলী-সহ চিঠি পাঠানো হয়েছে দক্ষিণ 24 পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে ৷
সূত্রের খবর, আগামী 9 থেকে 17 জানুয়ারি মেলার দিনগুলিতে মেলাপ্রাঙ্গণে একটি গাড়িতে খাবারের গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো ও ব্যবস্থাপনা মজুত রাখা হবে ৷ সংশ্লিষ্ট চিঠিতে বলা হয়েছে, গঙ্গাসাগর মেলায় বহু মানুষের জমায়েতের মধ্যে খাদ্যের গুণমান বজায় রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ ৷ তাই, খাদ্য নিরাপত্তা আধিকারিকদের দফায় দফায় পরিদর্শন ও নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে খাদ্যের মান বজায় রাখা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিশ্চিত করতে হবে ৷
আরও পড়ুন:গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের চিকিৎসায় বিশেষ নজর, থাকছে শিশুদের আলাদা বিভাগ
এই চিঠির পর দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মেলাপ্রাঙ্গণে খাবারের গুণগতমান পরীক্ষার ব্যবস্থা-সহ একটি গাড়ি সবসময় থাকবে ৷ আনুষ্ঠানিকভাবে একে বলা হচ্ছে 'ফুড সেফটি অন হুইলস' (Food Safety on Wheels) ৷ এর মাধ্যমে মেলার দিনগুলিতে নজরদারি চালানো হবে ৷ এর জন্য নবান্নের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার ফুড সেফটি অফিসারদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ নির্দেশ অনুসারে, বিভিন্ন খাবারের স্টলে আচমকা পরিদর্শন করে খাদ্যের নমুনা সংগ্রহ করবেন এই আধিকারিকরা ৷ তারপর সেই নমুনার গুণগত মান যাচাই করা হবে ৷
এছাড়াও, মেলাপ্রাঙ্গণে পর্যাপ্ত সংখ্য়ায় চিকিৎসক ও চিকিৎসা পরিকাঠামো থাকবে ৷ কিন্তু, অনেকে আবার অ্য়ালোপ্যাথি চিকিৎসা এড়িয়ে যান ৷ তাই এবার মেলাপ্রাঙ্গণে 10 জনের একটি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক দলও থাকবে ৷ মেলা শুরুর দিন থেকে 17 তারিখ, অর্থাৎ মেলা শেষ হওয়ার দিন পর্যন্ত তাঁরা সাগরেই থাকবেন ৷ ক্যাম্প করে দেওয়া হবে চিকিৎসা পরিষেবা ৷
এর পাশাপাশি, আপদকালীন চিকিৎসার জন্য সাগরে বোটের ব্যবস্থাও থাকবে ৷ যাতে দ্রুত এই বোটের মাধ্যমে রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা করা হবে ৷ এছাড়া, অতি সংকটজনক রোগীদের আগের মতোই এয়ারলিফটের ব্যবস্থাও থাকছে ৷ এবার যেহেতু করোনা সংক্রমণ তলানিতে এসে ঠেকেছে, তাই আলাদা করে কোনও করোনাবিধি কার্যকর থাকছে না ৷ তবে করোনায় আক্রান্ত হলে আলাদা চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকছে ৷