পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Ban on Fishing: 61 দিন গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি মৎস্য দফতরের

প্রতি বছরের মত এবারও দু'মাস গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি মৎস্য দফতরের ৷ 15 এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা ৷ চলবে 61 দিন অর্থাৎ 14 জুন পর্যন্ত ৷

Fishing ban for two months
মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা

By

Published : Apr 18, 2023, 3:33 PM IST

সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি মৎস্য দফতরের

ডায়মন্ড হারবার, 18 এপ্রিল:গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল মৎস্য দফতর ৷ সামুদ্রিক মাছেদের প্রজননের সময় এখন ৷ সেই কথা মাথায় রেখেই 15 এপ্রিল থেকে টানা 61 দিন সমুদ্রে মাছ ধরায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । ছোট বড় সকল মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরার উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হযেছে । 14 জুন পর্যন্ত জারি থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা । এই সময়কালের মধ্যে মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারবেন না । সমুদ্রতট থেকে 12 নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মাছ ধরার উপর সমস্ত রকম নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে ।

মূলত প্রত্যেক বছরই মাছের প্রজনন এবং উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে ৷ এবারও এই সময়ের মধ্যে মাছেরা যাতে নিশ্চিন্তে সমুদ্রে বিচরণ করতে পারে তাই নিষেধাজ্ঞা । তবে গতবছর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও সমুদ্রে গিয়েছিল সাতটি নৌকা । এই খবর জানার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন । দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার সহ মৎস্য অধিকর্তা পিয়াল সর্দার জানান, 61 দিন গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর প্রতিবছরই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে ৷ মূলত মাছেদের প্রজননের জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় । এর ফলে মাছের উৎপাদন বাড়ে । নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ যাতে সমুদ্রে না যায় সেদিকটি লক্ষ্য রাখা হচ্ছে । এমন হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীপাত্র বলেন, "প্রতি বছর মাছেদের প্রজননের জন্য 61 দিন গভীর সমুদ্রের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্য দফতর । এই সময়কালে মৎস্যজীবীরা নিজেদের ট্রলার থেকে শুরু করে নিজেদের জাল মেরামতির কাজ সেরে নেয় । 61 দিন পর মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে ৷ এরপর আবারও মাছ ধরতে যাবে মৎস্যজীবীরা । মূলত সমুদ্রে মাছদের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় প্রতিবছর ।"

মৎস্যজীবী রবীন্দ্রনাথ দাস জানান, গত বছর তেমন মাছ হয়নি ৷ এ বছর আশা করব যাতে ভালো মাছ হয় ৷ না হলে সংসার চালানো দায় হয়ে যাবে । কাকদ্বীপ বন্দরে মোট দু'হাজারেরও বেশি মৎস্যজীবী ট্রলার রয়েছে ৷ প্রতিটি ট্রলার 17 থেকে 20 জন করে মৎস্যজীবীরা থাকেন । 61 দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকলে রুজি রুটিতে টান পড়বে । এই সময়কালে নিজেদের সরঞ্জাম গুছিয়ে নেওয়ার কাজ চালাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা । আবারও 61 দিন পর গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে মৎস্যজীবী ট্রলারগুলি ।

আরও পড়ুন:সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠতেই ইলিশের খোঁজে মাঝ সমুদ্রে যাত্রা শুরু

ABOUT THE AUTHOR

...view details