বারুইপুর, 12 জানুয়ারি: ফের বন্যপ্রাণ হত্যা । পূর্ণবয়স্ক হরিণকে মেরে তার মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠল দু'জনের বিরুদ্ধে । অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাতে কুলতলির কৈখালি এলাকা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে । বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে তোলা হয় । বনদফতর মারফত কুলতলি থানায় খবর আসে, জঙ্গলে ঢুকে একটি হরিণকে হত্য়া করা হয়েছে । এরপর সেই মাংস কেটে কেটে বিক্রি করা হচ্ছে । এরপরই রাতে অভিযান চালিয়ে দু'জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।
কচ্ছপ পাচার: বুধবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এডিএফও অনুরাগ চৌধুরীর নেতৃত্বে বনদফতর এর একটি দল সাদা পোশাকে অভিযান চালায় । তাদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল বারুইপুর জয়নগর রোড দিয়ে কচ্ছপ পাচার হবে স্কুটিতে করে (Turtles Smuggling) । সেই মতো তারা ওত পেতে অপেক্ষা করতে থাকে । এরপরে দুই পাচারকারী বারুইপুর জয়নগর রোডের সূর্যপুরে আসলেই তাঁদেরকে ঘিরে ধরে বনদফতরের কর্মীরা । ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে 97টি ফ্ল্যাপসেল ও একটি সফ্টসেল প্রজাতির কচ্ছপ । ধৃতদের বাড়ি মগরাহাট এলাকায় ।
দু'জন গ্রেফতার: গভীর রাতেই দু'জনকে গ্রেফতার করে বারুইপুর থানায় আনা হয় । পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দুটি স্কুটি । ধৃতদের নাম সুন্দর নস্কর ও কানাই দাস। তাদের কাছ খেকে হরিণের চামড়াও উদ্ধার করা হয়েছে । তাদের সঙ্গে আর কেউ জড়িত ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । বন্যপ্রাণী হত্যা ও তাদের মাংস বিক্রির ঘটনা নতুন নয় । এর আগেও একাধিকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে।