পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী প্রার্থী মৈমুর ঘরামি খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য মগরাহাটে মগরাহাট, 29 জুলাই: তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীকে প্রথমে গুলি এবং পরে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ৷ শুক্রবার রাতে দক্ষিণ 24 পরগনার মগরাহাট থানার অর্জুনপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে ৷ নিহতের নাম মৈমুর ঘরামি ৷ গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাহজাহান মোল্লা নামে আরও এক ব্যক্তি ৷
ডায়মন্ডহারবারের এসডিপিও মিথুন দে জানান, প্রাথমিক তদন্তে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে এই খুন বলে মনে করা হচ্ছে ৷ তবে রাজনৈতিক কারণও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না ৷ পুলিশ তদন্ত করছে ৷ তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত 4 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন মৈমুর ঘরামি ৷ অভিযোগ, বাড়ির থেকে কিছুটা দূরে অন্ধকারে তাঁকে ঘিরে ধরে একদল দুষ্কৃতী ৷ এরপর তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা ৷ পাশাপাশি ধারালো কিছু দিয়ে তাঁকে কোপানো হয় বলেও অভিযোগ ৷ ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন মৈমুর ৷
এরপরই চিৎকারের শব্দ পেয়ে তৃণমূল নেতা মৈমুরকে বাঁচাতে ছুটে আসেন শাহজাহান মোল্লা নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা ৷ তাঁকেও গুলি করে দুষ্কৃতীরা ৷ তারপরই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা ৷ রক্তাক্ত অবস্থায় মৈমুর ঘরামি ও শাহজাহান মোল্লাকে উদ্ধার করে ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানেই চিকিৎসকরা মৈমুর ঘরামিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ওই হাসপাতালেই শাহজাহানের চিকিৎসা চলছে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল ৷ ঘটনার খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে রাতেই হাসপাতালে পৌঁছন এসডিপিও মিথুন দে ৷ তিনি বলেন, "মগরাহাট পূর্ব গ্রামপঞ্চায়েতের অর্জুনপুরে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী ছিলেন মৈমুর ঘরামি ৷ এলাকায় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীদের সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্য তৈরি হয়েছিল ৷ তারাই হামলা চালিয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে ৷" ময়নাতদন্তের পুরো বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিক ৷
আরও পড়ুন: বিহার থেকে ধৃত আদ্রায় তৃণমূল নেতা খুনের মাস্টার মাইন্ড
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকে রাজ্যজুড়ে হিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে ৷ ভোট-পরবর্তী সময়েও তা চলছে ৷ মৃত্যু হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থক এমনকী নেতাদেরও ৷ পঞ্চায়েত ভোটে দক্ষিণ 24 পরগনার বিভিন্ন এলাকা থেকে সংঘর্ষের খবর মিলেছে ৷