ফের তৃণমূলে অন্তর্দ্বন্দ্ব উস্তি, 12 মার্চ: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) দামামা বেজে গিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই ভোট ময়দানে নেমে পড়েছে রাজ্যের শাসক থেকে বিরোধীদলগুলি। এবার দক্ষিণ 24 পরগনার উস্তির শেরপুর এলাকায় দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা প্রাক্তন সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা । তিনি বলেন, "প্রকৃত প্রাপকদের বঞ্চিত করে আত্মীয়-পরিজনের নাম আবাস-তালিকায় তুলেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। তার জন্য 10 থেকে 40 হাজার কাটমানিও নিয়েছেন তাঁরা।"
পালটা বিধায়কই কাটমানি নেন বলে আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। এরকমই একটি ভিডিয়ো ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে দক্ষিণ 24 পরগনার উস্তিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে উস্তিতে যান গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। সেখানে গিয়ে দলের পঞ্চায়েত সদস্যদেরর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মগরাহাট পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ, প্রকৃত প্রাপকদের বঞ্চিত করে আত্মীয়-পরিজনের নাম আবাস-তালিকায় তুলেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। এর জন্য কাটমানিও নিয়েছেন তাঁরা। এই ভিডিয়োই ভাইরাল হয় ৷
অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা বিধায়ককেই দুর্নীতিগ্রস্ত বলে দাবি করেছেন শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান। ঘটনাকে ঘিরে তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঘরোয়া কোন্দল প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে তৃণমূল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন ৷ আর এই বিষয়ে দক্ষিণ 24 পরগনার জেলার সিপিএমের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য মিন্টু মোকামি বলেন, "চোরেদের পার্টি মানুষ জেনে গিয়েছে। তাই মানুষকে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করছে ৷ নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বকে সামনে এনে মানুষের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছে ৷ সামনেই পঞ্চায়েত ভোট আমরা স্বচ্ছ পঞ্চায়েতের দাবিতে মানুষের কাছে যাচ্ছি দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে হবে। এই তৃণমূল আর নয়।"
আরও পড়ুন:সুকান্তর টুইটে মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে জল্পনা, অন্তর্ঘাত বললেন পর্ষদ প্রধান
এবিষয়ে দক্ষিণ 24 পরগনার মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের যুব তৃণমূলের সভাপতি ইমরান হোসেন মোল্লা বলেন, "যেখানে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসে ঘুরে গিয়ে বলেছে পঞ্চায়েতে আবাস যোজনা নিয়ে কোনওরকম দুর্নীতি হয়নি ৷ সেখানে বিধায়কের এই মন্তব্য কার্যত না-করলেই ভালো হত। কী ধরনের মন্তব্য করেছে তাই এখনও পর্যন্ত আমি শুনিনি। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের আবাস যোজনা নিয়ে কোনওরকম দুর্নীতি হয়নি। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট সেইজন্য বিরোধীরা এইরকম কুৎসা অপপ্রচার করছে।