উস্থি, 1 অগাস্ট : একঝলক দেখলে মনে পড়ে যাবে হিন্দি সিনেমা হিচকি'র দৃশ্য । নয়না মাথুরের রিটায়ারমেন্টের পর তাঁকে ছাড়তে চায়নি না ছাত্র-ছাত্রীরা ৷ সেই একই দৃশ্য ধরা পড়ল দক্ষিণ 24 পরগনার উস্থির একটি স্কুলে । প্রিয় শিক্ষককে কিছুতেই যেতে দেবে না সরাচি অম্বিকাচরণ হাইস্কুলের পড়ুয়ারা । একসময় তো স্যারকে ধরে কান্নাকাটি জুড়ে দেয় তারা । অনেকে স্যারের পা-ও জড়িয়ে ধরে ৷ এই ভালোবাসা দেখে আর নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকতে পারেননি শিক্ষক ৷ মত বদলান তিনি ৷ ঠিক করেন এই স্কুলেই থাকবেন ৷ প্রিয় পড়ুয়াদের ছেড়ে আপাতত যাবেন না কোথাও ৷
"আমাদের ছেড়ে যাবেন না", পড়ুয়াদের ভালোবাসার কাছে 'হার' শিক্ষকের
স্কুলে ট্রান্সফারের আবেদন করেছিলেন ৷ আবেদন মঞ্জুর হয়েছিল ৷ আজই সরাচি অম্বিকাচরণ হাইস্কুলে ছিল তাঁর শেষদিন ৷ কিন্তু, শিক্ষককে ছাড়তে চায়নি পড়ুয়ারা ৷ ট্রান্সফার হয়ে গেলেও তাই আজ ছাত্র-ছাত্রী ও সহকর্মীদের ভালোবাসার কাছে হার মানলেন সৌম্যদেববাবু ।
ওই শিক্ষকের নাম সৌম্যদেব আচার্য ৷ তিনি অন্য স্কুলে ট্রান্সফারের আবেদন করেছিলেন ৷ আবেদন মঞ্জুর হয়েছিল ৷ আজই সরাচি অম্বিকাচরণ হাইস্কুলে ছিল তাঁর শেষদিন ৷ কিন্তু, শিক্ষককে ছাড়তে চায়নি পড়ুয়ারা ৷ স্কুলের মাঠে প্ল্যাকার্ড, পোস্টার লাগিয়েছিল তারা । তাদের একটাই দাবি, "যেতে দেব না স্যার আপনাকে ।" শুধু পড়ুয়ারাই নয়, সৌম্যদেববাবুকে স্কুল থেকে যেতে দিতে চাননি সহকর্মীরাও । ট্রান্সফার হয়ে গেলেও তাই আজ ছাত্র-ছাত্রী ও সহকর্মীদের ভালোবাসার কাছে হার মানলেন সৌম্যদেববাবু । এই ভালোবাসা পেয়ে অভিভূত তিনি নিজেও ৷ একসময় কেঁদেই ফেললেন ৷
সৌম্যদেববাবু বলেন, "ডানপিটে ছাত্রটি মানুষ হওয়ার পর সে যদি শিক্ষকের পথ আগলে দাঁড়ায় সেটাই সবথেকে বড় প্রাপ্তি ৷ একজন আদর্শ শিক্ষকের সার্থকতা এখানেই । এই প্রাপ্তিই আজ আমার হল৷"