কাঁথি, 3 ডিসেম্বর: আজ শুভেন্দু গড়ে অভিষেক ৷ আর ডায়মন্ডহারবারে শুভেন্দু ৷ তার আগের রাতে ধুন্ধুমার কাণ্ড ৷ ডায়মন্ডহারবারে জনসভার ডেকরেটারকে নিয়ে বিতর্ক পৌঁছল টুইট যুদ্ধে ৷ শুক্রবার রাতে শুভেন্দু অধিকারী একটি টুইটে ভিডিয়ো পোস্ট করেন ৷ তাতে বিরোধী দলনেতার দাবি, তাঁর সভার আগে মঞ্চ খুলে ফেলা হচ্ছে । তাঁর অভিযোগ, কয়লা-ভাইপোর নির্দেশেই এই কাজ করছে গুন্ডা বাহিনী । যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷ এরই পালটা দেয় তৃণমূল । দলের নেতা কুণাল ঘোষ থেকে শুরু করে দেবাংশু ভট্টাচার্যরা দাবি করেন মঞ্চ খুলে ফেলা নিয়ে বিরোধী দলনেতা যে দাবি করছেন তা মিথ্যা । দুই ডেকরেটারের মধ্যে ব্যবসা সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই মঞ্চ খোলা হয়েছে । এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই । সবমিলিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পা রাখার আগে সেই ভিডিয়ো ঘিরে উত্তপ্ত বিজেপি নেতার জনসভাস্থল (Suvendu Adhikari tweets before Diamond Harbour Rally) ৷
কী আছে সেই ভিডিয়োতে ?
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, এক মহিলা পুলিশের কাছে নিজের পরিচয় দিচ্ছেন মমতা পুরকাইত ৷ তিনি মহিলা পুলিশ আধিকারিককে বলেন, "আমার বাড়ি ডায়মন্ডহারবারে ৷ আমার বাপের বাড়ি মথুরাপুরে ৷ আমার বাবার ডেকরেটারের ব্যবসা ৷ তিনি সব সামগ্রী মথুরাপুর থেকে ভাড়া দেন ৷ এখানে (ডায়মন্ডহারবারের জনসভায়) যে সব জিনিস এসেছে, তা রায়দিঘি থেকে ৷" মমতা পুরকাইতের বক্তব্য, শুভেন্দুর জনসভায় যে ঠিকাদার ডেকরেটারের সামগ্রী এনেছেন, তিনি মহিলার বাবার কাছ থেকে অর্থাৎ মথুরাপুর থেকে সেই সব সামগ্রী নিয়ে রায়দিঘি গিয়েছেন ৷ তারপর রায়দিঘি থেকে ডায়মন্ডহারবারে এনেছেন ৷
পুলিশ আধিকারিক তাঁর কথা শুনে বলেন, "আপনার সঙ্গে সরাসরি চুক্তি হয়নি, ভায়া হয়ে এসেছে ৷" মহিলার অভিযোগ, "আমার বাবা সব জিনিসপত্র ফেরত চাইছেন ৷ তাঁকে ভুল কথা বলে ঠিকাদার এইসব এখানে (ডায়মন্ডহারবারে) নিয়ে এসেছে ৷" মমতা পুরকাইতের দাবি, "আমার বাবা ভাড়া দিতে চাইছিলেন না ৷ আমি এখন সব জিনিস এখান থেকে নিয়ে যেতে চাই ৷"
আরও পড়ুন: শান্তিকুঞ্জের পাশেই অভিষেকের সভা, থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বেষ্টনী