পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Kali Puja 2023: দ্বীপ গড়ে ওঠার পর থেকেই সাগরের অধিষ্ঠাত্রী তিনি, জানুন সেই আদি কালী মন্দিরের কথা - Story of ancient kali mandir of Sagar

সাগরদ্বীপ যবে থেকে গঠিত হয়েছে তবে থেকেই সেখানে তাঁর অধিষ্ঠান ৷ আগে এই স্থান ঘন জঙ্গলাকীর্ণ ছিল ৷ প্রায় 400 থেকে 500 বছর আগে স্বপ্নাদেশে পুজো শুরু হয় ৷ তখন থেকেই আজও নিত্যপুজোর পাশাপাশি দীপান্বিতা অমাবস্যায় জাঁকজমকভাবে পুজো আসছে এখানে ৷

Etv Bharat
সাগরের আদি কালী মন্দির

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 2, 2023, 6:21 PM IST

আদি কালী মন্দিরের কথা

সাগর, 2 নভেম্বর: ভৌগোলিক পরিবর্তনের ফলে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় গজিয়ে উঠেছিল একটি দ্বীপ । বর্তমানে সেটাই সাগরদ্বীপ নামে পরিচিত । আনুমানিক আজ থেকে প্রায় 400-500 বছর আগে এই দ্বীপ গড়ে উঠেছিল । তৎকালীন সময়ে ঘন জঙ্গলে ঢাকা ছিল এই এলাকা । এরপর রুটিরুজির টানে সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষজনেরা এই দ্বীপে এসে সুন্দরবনের কাঠ ও মধু সংগ্রহ করা শুরু করে ৷

তৎকালীন সময়ে জঙ্গলের হিংস্র জীবজন্তুর হাত থেকে নিজেদেরকে বাঁচাতে একটি বটবৃক্ষের তলায় পূজার্চনা করে জঙ্গলে যেতো এলাকাবাসীরা ৷ এর ফলে নাকি সেই সময় হিংস্র জীবজন্তুর আক্রমণে মৃত্যুর পরিমাণ অনেকটাই কমে গিয়েছিল ৷ তখন থেকে বেশ কয়েকজন উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষজনেরা জঙ্গল পরিষ্কার করে এই সাগরদ্বীপেই বসবাস শুরু করে । এমনই এক অলৌকিক মন্দির রয়েছে দক্ষিণ 24 পরগনার গঙ্গাসাগরের ধসপাড়া এলাকায় । যা আদি কালীমন্দির নামে পরিচিত । তৎকালীন সময়ে সাগরদ্বীপের বাসিন্দা নিরঞ্জন পাত্র দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে ঘন জঙ্গল পরিষ্কার করে মন্দির তৈরি করে কালীমূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন । এরপর থেকে ওই মন্দিরে কালীপুজো হয়ে আসছে আনুমানিক 400 থেকে 500 বছর ধরে ।

এখানে দেবীর পাঁচটি বড় মূর্তি রয়েছে ৷ এছাড়াও ছোট ছোট অনেক কালীমূর্তি রয়েছে ৷ মানত করে এগুলি ভক্তরা দিয়ে গিয়েছেন ৷ তখন থেকে সব মূর্তিই পুজো হচ্ছে বলে জানালেন পুরোহিত ৷ নিত্যপুজো ছাড়াও প্রতি মঙ্গল ও শনিবার বিশেষ পুজো হয় এখানে ৷ এছাড়াও প্রতিবছর কালীপুজোর দিন জাঁকজমকের সঙ্গে পুজো হয় ৷ এই বিষয়ে মন্দিরের প্রধান সেবায়েত প্রকাশ পণ্ডা বলেন, "সাগরদ্বীপ যখন থেকে গড়ে উঠেছিল তারপর থেকেই এই মন্দিরে কালীমায়ের পুজো শুরু হয় ৷ আমাদের পূর্বপুরুষ এই মন্দিরে মায়ের সেবা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে । বংশপরম্পরায় এখন আমি এই মন্দিরে প্রধান সেবাইত । এই মন্দিরের মা খুবই জাগ্রত । এখানে পুজো দিতে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসে । মা করুণাময়ী সকলের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন ।"

স্থানীয় এক বাসিন্দা মধুসূদন মণ্ডলের কথায়, "এই বটগাছের নিচেই মায়ের মূর্তি ছিল এবং এই মা একজনকে স্বপ্নাদেশ দেয় যে এখানেই তাঁর মন্দির প্রতিষ্ঠা করে পুজো করার জন্য । তৎকালীন সময় এই এলাকা ঘন জঙ্গলে ঢাকা ছিল এবং আমরা প্রত্যেকদিন বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেতাম । কিন্তু মায়ের আশীর্বাদে আমাদের কোনওপ্রকার ক্ষতি হয়নি । এই মা খুবই জাগ্রত ৷ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে পুজো দিতে আসে । কালীপুজোর সময় বিশেষ পুজোর ব্যবস্থা করা হয় ।"

আরও পড়ুন : শ্মশান থেকে পথের কালী, কেমন ছিল সেই ইতিহাস ?

ABOUT THE AUTHOR

...view details