দিদা ও নাতিকে খুন করল নাতনি-নাতজামাই সোনারপুর, 25 নভেম্বর:নিখোঁজ দিদা ও নাতির কঙ্কাল উদ্ধার।পুজোর আগে থেকেই নিখোঁজ ছিলেন দিদা ও নাতি। শনিবার বিকালে তাঁদের কঙ্কাল উদ্ধার হল বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর থানার গোটবেড়িয়া এলাকায়। ঘটনায় নাতনি প্রিয়াঙ্কা দাস ও তাঁর স্বামী শান্তনু দাসকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম গঙ্গারানি দাস (60) এবং মানসরঞ্জন দাস (20)
নাতি মানসরঞ্জন মানসিক রোগী ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর আগে থেকেই নিখোঁজ ছিলেন দিদা ও নাতি। তাঁদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গঙ্গারানির খোঁজে আত্মীয়রা অনেকবার এসেছেন বলে জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরা । বিশেষ করে গঙ্গারানির বোন ও তাঁর মেয়ে অনেকবার খোঁজ করতে আসলেও তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হতো । এদিন, প্রতিবেশীদের সাহায্য নেন দুজনেই । প্রতিবাদ করেন প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর স্বামীর খারাপ ব্য়বহারের বিরুদ্ধে ।
সন্দেহ বাড়ে সেপটিক ট্যাংকের নতুন ঢালাই দেখে। শনিবার বিকেলে প্রায় জোর করেই সেপটিক ট্যাংকে কাছাকাছি যান এলাকাবাসী। আচমকাই ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। তখনই এলাকার মানুষের সন্দেহ হয়। তাঁরা পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ সেপটিক ট্যাংক থেকে কঙ্কাল উদ্ধার করে । এলাকার মানুষের সন্দেহ করেন ওই কঙ্কাল আর কারও নয়, নিখোঁজ দিদা ও নাতির। তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান, গঙ্গারানির নাতনি ও নাতজামাইয়ের বিরুদ্ধে। পুলিশ তাদের আটক করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কঙ্কালের টুকরোগুলো ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ল্য়াবরেটরিতে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
- ফোনে কথা বলার পরই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার! প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যার অনুমান পুলিশের
- প্রথমে চুরি, তারপর খুনের হুমকি; শুক্রবার রহস্যজনক ভাবে উদ্ধার ব্যক্তির দেহ
- বিহারের বাসিন্দার পচাগলা দেহ উদ্ধার বন্ধ বাড়ি থেকে, ঘটনাস্থলে উদ্ধার কানের দুল