পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

কন্যাশ্রী প্রকল্পের 8 লাখ টাকা তছরূপের অভিযোগে গ্রেফতার স্কুল কর্মী - Kanyashree project

মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পে এবার জালিয়াতির অভিযোগ । সেই অভিযোগে নাম জড়াল স্কুলেরই এক অস্থায়ী কর্মীর । অভিযোগ, ওই কর্মী নিজের ও পরিচিতদের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ঢুকিয়ে প্রায় 8 লাখ টাকার আর্থিক জালিয়াতি করেছেন ।

কন্যাশ্রী প্রকল্পের 8 লাখ টাকা তছরুপের অভিযোগে
কন্যাশ্রী প্রকল্পের 8 লাখ টাকা তছরুপের অভিযোগে

By

Published : Jul 24, 2021, 2:59 PM IST

জয়নগর, 24 জুলাই : ছাত্রীদের কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা নিজের ও আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর অভিযোগ উঠল স্কুলের এক অস্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে । এভাবে প্রায় 8 লাখ টাকা তছরূপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ জয়নগরের শ্যামসুন্দর বালিকা বিদ্যালয়ের এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল এলাকায় । অভিযুক্ত স্কুলকর্মী ও তাঁর বাবাকে গ্রেফতার করেছে জয়নগর থানার পুলিশ ।

মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পে এবার জালিয়াতির অভিযোগ । সেই অভিযোগে নাম জড়াল স্কুলেরই এক অস্থায়ী কর্মীর । নাম সন্দীপ রায় । জয়নগরের শ্যামসুন্দর বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের কন্যাশ্রীর টাকা হাতানো হয় বলে অভিযোগ । অভিযোগ, ওই কর্মী নিজের ও পরিচিতদের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ঢুকিয়ে প্রায় 8 লাখ টাকার আর্থিক জালিয়াতি করেছেন । সন্দীপ ডাটা এন্ট্রির কাজ করতেন শ্যামসুন্দর বালিকা বিদ্যালয়ে । ফলে কোথায় কত কী লেনদেন হচ্ছে, কোন খাতে কত টাকা আসছে সবই তাঁর জানা ছিল । সেই সুযোগকেই তিনি কাজে লাগান বলে অভিযোগ । বাসনা লস্কর নামে এক ছাত্রীর কথায়, “স্কুলে গিয়ে জানতে পারলাম, যে অ্যাকাউন্ট নম্বরটা দেওয়া রয়েছে সেটা আমার অ্যাকাউন্ট নম্বরই নয় । অন্য একটি মেয়ের । আমি বাবাকে বিষয়টা জানাই । বাবা স্কুলে গিয়ে কথা বলে । এরপর শুনলাম অন্যের কাছে টাকা চলে গিয়েছে ।”

আরও পড়ুন, রূপশ্রী প্রকল্পে একাধিক ভুয়ো আবেদনপত্র, জবাব চেয়ে নোটিস পাঠালেন বিডিও


এই ঘটনা সামনে এল কীভাবে ? এ প্রসঙ্গে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা স্বাগতা মণ্ডল বলেন, “সপ্তাহখানেক ধরে বেশ কয়েকজন অভিভাবক এসে অভিযোগ জানান, তাঁদের মেয়ে কন্যাশ্রীর টাকা পায়নি । এরপরই আমরা আমাদের পোর্টালে দেখি 2020 সালের যে কন্যাশ্রীর টাকা বরাদ্দ হয়েছে সেখানে এমন বহু ছাত্রী আছে, যাদের নাম ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে ৷ কিন্তু ব্যাঙ্ক সম্পর্কিত তথ্যটা অন্য কারও । কিছু ক্ষেত্রে আবার দেখা গিয়েছে, ডবল এন্ট্রি হয়েছে । এরপরই অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা যায় 2017 সাল থেকে 2020 সালের অক্টোবর পর্যন্ত আমাদের এ সমস্ত কাজ দেখতেন সন্দীপ রায় ৷ আর তিনিই এসবের পিছনে রয়েছেন ৷ অভিভাবকরাও জানিয়েছেন, সন্দীপের কাছেই সমস্ত বিস্তারিত তথ্য তাঁরা দিয়েছিলেন।”

অভিযুক্ত সন্দীপ রায়কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করেন । তিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই এই কাজ করেছেন বলেও স্বীকার করেন । এরপরই সন্দীপের বিরুদ্ধে জয়নগর থানায় অভিযোগ জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ । তারই ভিত্তিতে সন্দীপ রায় ও তাঁর বাবা অনুপ রায়কে গ্রেফতার করা হয় । শনিবার, ধৃতদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details