সাগর, 19 জানুয়ারি : কোরোনার টিকা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় । প্রথম সারির কোরোনা যোদ্ধা না হয়েও তাঁর টিকা নেওয়ায় বিতর্ক দেখা দিয়েছিল ৷ তাঁর যুক্তি ছিল, কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বলে তিনি নাকি টিকা নিতেই পারেন ৷ এরপর আলিপুরদুয়রের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর নামও তালিকায় দেখা যায় ৷ পরে বিতর্ক শুরু হতেই তিনি টিকা নেননি ৷ সেই বিতর্ক মিটতে না মিটতেই ফের আরও এক তৃণমূল বিধায়ক কোরোনার টিকা নিলেন ৷ টিকা নিলেন সাগরের বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ৷ রুদ্রনগর গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
বঙ্কিমবাবু বলেন, ‘‘আমি গ্রামীণ হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। তাই আমি টিকা পেতেই পারি।’’ ডায়মন্ডহারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস রায়েরও যুক্তি, ‘‘বঙ্কিমবাবু জনপ্রতিনিধি তাই টিকা নিতেই পারেন।’’ এভাবে তৃণমূলের নেতা-বিধায়করা আগেভাগেই কোরোনা টিকা নেওয়ায় দলে অস্বস্তি বাড়ছে ৷ আর এটাকে হাতিয়ার করেছে বিজেপি ৷ আজ খেজুরির সভায় এই নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারীও ৷ তিনি বলেন," তৃণমূল এতদিন চাল চুরি করত, এবার টিকাও চুরি করছে ৷" কোরোনা টিকাকরণ শুরুর আগেই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দেয়, প্রথম পর্যায়ে টিকাকরণ শুধুমাত্র কোরোনা যোদ্ধাদের দেওয়া হবে ৷ কিন্তু কোরোনা টিকাকরণের প্রথম দিনেই কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় টিকা নেন ৷ এমনকী আলিপুরদুয়রের বিধায়ক তৃণমূলের সৌরভ চক্রবর্তীর নামও টিকা তালিকায় দেখা যায় ৷ এরপর আজ সাগরের তৃণমূল বিধায়কের টিকা নেওয়ার ঘটনা সামনে আসতেই আবর বিতর্ক ছড়াল ৷ বিজেপির 1 নম্বর সাগর মণ্ডল সভাপতি সোমনাথ ভূঁইঞা এখানকার বিধায়কের তীব্র সমালোচনা করলেন ৷ তিনি বলেন, "প্রথম সারির কোরোনা যোদ্ধাদের কোরোনা টিকা পাওয়ার অধিকার ৷ তাদের কোরোনা টিকা না দিয়ে বিধায়ক নিজে যদি এই ভাবে প্রথম কোরোনা টিকা নিয়ে নেন, তাহলে সাধারণ মানুষ কী করবে?"