দীর্ঘদিন ধরে চলছে ঝুঁকির যাতায়াত পাথরপ্রতিমা, 5 সেপ্টেম্বর: নদীর নাব্যতা কমে যাচ্ছে ৷ ধীরে-ধীরে পলি জমছে নদীতে ৷ এর ফলে নৌকা চলাচলের ক্ষেত্রে সমস্যা বেড়েই চলেছে। মাঝ নদীতে আটকে পড়ছে যাত্রীবোঝাই নৌকা। নিরুপায় হয়ে কাদা ঘেঁটে নদীর ঘাটে উঠছেন যাত্রীরা। এই ভোগান্তি বেশ কয়েক বছর ধরে চলে আসছে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের যুধিষ্ঠির জানা খেয়া ঘাটে।
স্থানীয়দের দাবি, ভোট আসে ভোট যায় কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় না ৷ বামফ্রন্টের 34 বছর আমলে যা ছিল বর্তমানে শাসকদলের প্রায় 12 বছরের জামানাতে একই দুর্দশা এলাকাবাসীর। পরিবর্তনের ছিটেফোঁটা পর্যন্ত নেই অভিযোগ যাত্রীদের। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছোট রাক্ষসখালি, বড় রাক্ষসখালি, ব্রজবল্লভপুর-সহ এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ, কলকাতা আসা যাওয়ার জন্য এই নৌকা ফেরিতে পারাপার করতে বাধ্য হন।
আর ঠিক মাসের মাঝপথে কোটালের ভাটার সময় যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। এক হাঁটু কাদা পেরিয়ে নৌকােয় ওঠা নামা করতে হয়। তবে মাঝেমধ্যে যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না ৷ ঘণ্টার পর ঘণ্টা নৌকাতে মাঝপথে বসে থাকতে হয়। সুন্দরবনের একদম লাগোয়া দ্বীপ হওয়ায় কারণে কুমির থেকে শুরু করে হিংস্র প্রাণীর হামলায় আতঙ্ক মনের মধ্যে থাকে। যাত্রীদের অভিযোগ, রাক্ষসখালি এলাকায় যে জেটি ঘাট রয়েছে, ইটের ব্লক ফেলে তা কংক্রিটে জেটি তৈরি করা হোক।
তাহলে এলাকার মানুষই দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পাবে। গত কয়েক মাস আগে নীচের দিকে ইটের তৈরি ব্লক ফেলা হয়েছিল বর্তমানে সেই ইটের উপরে পলি জমে যাতায়াত করার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পলিগুলো সরানো হচ্ছে না, দীর্ঘ 50 বছর একই অবস্থা। এ বিষয়ে সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, "জোয়ার-ভাটার উপর কারও হাত নেই, তবে আগামিদিনে চেষ্টা করা হচ্ছে স্থানীয় কংক্রিটের জেটি নির্মাণের। নদীর নাব্যতা ফেরানোর জন্য ড্রেজিং করা হবে ৷
আরও পড়ুন:'মোকা' মোকাবিলায় প্রস্তুত বিপর্যয় বাহিনী, নদী বাঁধ পরিদর্শনে মন্ত্রী