জয়নগর (দক্ষিণ 24 পরগনা), 3 জুন : করোনা মোকাবিলায় নিজের সঞ্চয়ের টাকা থেকে 5 লাখ টাকা দান করলেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা মালতী হালদার । তিনি স্থানীয় ঘটিহারানিয়া হাইস্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন । মালতী দেবীর বক্তব্য, তাঁর মা পড়াশুনা জানতেন না । তবে, তাঁর পড়াশুনার জন্য মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি । মায়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যেই তাঁর এই দান ।
জয়নগরের দক্ষিণাঞ্চল স্বাস্থ্য সদন নার্সিংহোমে করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা মালতী হালদার নিজের চাকরি জীবনের সঞ্চয় থেকে 5 লক্ষ টাকা দান করেছেন । তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে, পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ছেলে ও পুত্রবধূ। তবে, তিনি একা এগিয়ে এলে হবে না ৷ সকলেই যাতে তাঁদের সাধ্যমতো মানব কল্যাণে এগিয়ে আসেন, সেই আবেদন জানিয়েছেন মালতী হালদার ।
2017 সালের 31 মে চাকরি জীবন থেকে অবসর নিয়েছেন মালতী দেবী ৷ তাঁর স্বামী গোবিন্দচন্দ্র হালদার ঘটিহারানিয়া হাইস্কুলের গণিতের শিক্ষক ছিলেন । তিনি একজন বামপন্থী সমাজ কর্মী । মালতী দেবীর দুই ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছেন ৷ দুই ছেলেও স্কুল শিক্ষক ৷ পরিবারের আরও অনেকেই শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ৷ শিক্ষিকা মালতী হালদারের জন্ম সুন্দরবনের শেষ সীমানা মৈপিট বৈকন্ঠপুর গ্রামে । যেখানে মেয়েদের শিক্ষার আলোর আজও ঠিক মতো পৌঁছায়নি ৷ তবে, শুধুমাত্র মায়ের উদ্যোগে তিনি নিজের পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছিলেন এবং পরবর্তী সময়ে তিনি নিজে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন মালতীদেবী ৷
করোনা মোকাবিলায় 5 লাখ টাকার অনুদান অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকার আরও পড়ুন : করোনায় মৃতের স্মৃতিতে অনাথ আশ্রমে দান পরিবারের
মালতীদেবীর ছেলে অনিমেষ হালদার জানিয়েছেন, তাঁর মা’র এই সিদ্ধান্তকে তিনি এবং তাঁর গোটা পরিবার সমর্থন করেন ৷ করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিতে তাঁর মা সামান্য কিছু অবদান রাখতে চেয়েছেন ৷ যা আগামীতে অন্যান্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে ৷ সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে যদি মালতীদেবী এমন কোনও উদ্যোগ নেন, সেখানেও তাঁরা তাঁর সঙ্গে থাকবেন বলে জানিয়েছেন অনিমেষ হালদার ৷