নামখানা, 27 সেপ্টেম্বর : কথায় আছে 'নদীর ধারে বাস, চিন্তা বারোমাস'। উপকূলের মানুষগুলোর এই চিন্তা যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গিয়েছে । কারণ এখন তাঁদের বেঁচে থাকা মানেই প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করা ।
কিছুদিন আগেই ঘূর্ণিঝড় যশ-এর তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছিল সুন্দরবনের উপকূল এলাকা । অতীতে আমফান, বুলবুল, আয়লার সঙ্গেও কঠিন লড়াই চালিয়েছে সুন্দরবনের মানুষ । এরপরও যেন প্রকৃতির রোষ থেকে নিস্তার নেই তাঁদের । আবারও বিপদের কালো মেঘ ঘনিয়েছে সেখানকার আকাশে । নিম্নচাপ ও ঝড়ের আশঙ্কায় ঘুম উড়ে গিয়েছে সুন্দরবনের মানুষদের । বিগত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এখনও জল নামেনি সুন্দরবনের একাংশে । নিম্নচাপের অতি ভারী বৃষ্টিপাত ও পূর্ণিমার কোটালের জেরে নদী ও সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় মৌসুনি দ্বীপের বালিয়াড়ির সমুদ্রবাঁধের বেহাল দশা । জোড়া ঘূর্ণাবর্তে আরও ক্ষতির আশঙ্কা দেখছেন এলকাবাসী । কারণ, যশ-এর পর টানা বর্ষণ ও একের পর এক কোটাল ও নিম্নচাপের জেরে বাঁধের মাটি ক্ষয় হতে শুরু করেছে ৷ বলছেন, এলাকার বাসিন্দারা ।
ফলে সাগরদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, মৌসুনি ও ঘোড়ামারা দ্বীপের বেহাল নদী ও সমুদ্র বাঁধগুলোর উপর কড়া নজর রেখেছে জেলা প্রশাসন । হাওয়া অফিসের পৃর্বাভাষ, মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃষ্টির দাপটের সঙ্গেই বঙ্গোপসাগরে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস দেখা দেবে । এখনই বেহাল বাঁধ টপকে নদী ও সমুদ্রের জল ঢুকে পড়ছে মৌসুনি দ্বীপের বালিয়াড়া, সল্টঘেরি ও পয়লা ঘেরির একাংশ এলাকা । জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূল এলাকার পঞ্চায়েত, ব্লক প্রশাসন ও সেচ দফতরকে সতর্ক করা হয়েছে ।