কুলতলি, 3 অক্টোবর : সচারচর এমনটা হয় না ৷ এই গল্পে (পড়ুন বাস্তবে) দুঃস্বপ্ন আর রূপকথা মিলেমিশে গেছে ! বিপ্লবের মূল্য পেয়েছে স্বপ্না (নাম পরিবর্তিত) ৷ কুলতুলির স্বপ্না মণ্ডল ৷ 2013 সালে ক্লাস সিক্সে পড়াকালীনই পরিবারের সদস্যের হাতে নির্যাতিতা ৷ এরপর হাজারো লড়াই ৷ হোমে থাকা ৷ নারকীয় সেই জীবন সংঘর্ষে প্রথম থেকে সঙ্গে ছিল বন্ধু বিপ্লব (নাম পরিবর্তিত) ৷ সোমবার স্বপ্না মণ্ডল আর বিপ্লব কর্মকার বিয়ে করলেন ৷
স্বপ্না যখন মায়ের পেটে তখন তাঁর বাবা ভিনরাজ্যে বিয়ে করে চলে যায় ৷ জন্মের পরে পরেই মৄত্যু হয় মায়ের ৷ এরপর আশ্রয়স্থল ছিল মাসি, দিদা ও দাদু ৷ ছোটোবেলা কোনওরকমে কাটলেও খানিক বড় হতেই দুঃস্বপ্নের শুরু ৷ 13 বছর বয়সে লাগাতার যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয় তাঁকে ৷ সেটা 2013 সালের ঘটনা ৷ বাড়িতে কেউ ছিল না ৷ টানা ছয়দিন ধরে দাদু ধর্ষণ করে তাঁকে ৷ স্বপ্না তখন ক্লাস সিক্সের ছাত্রী ৷ এরমধ্যে স্কুলেরই ক্লাস এইটের ছাত্র বিপ্লব কর্মকারের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় স্বপ্নার ৷ পরে যা প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয় ৷ তাঁর উপর হওয়া অত্যাচারের কথা বিপ্লবকে জানায় স্বপ্না ৷ বিপ্লব বিষয়টি জানায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে ৷ ওই সংস্থার তরফে কুলতুলি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত অভয় মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ কিন্তু, এর ফলে বাড়ি ছাড়তে হয় স্বপ্নাকে ৷ এমনকী তাঁকে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করে তাঁর মাসিরা ৷ বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ স্বপ্নাকে উদ্ধার করে হোমে পাঠায় ৷ সেখানেই নতুন জীবনের শুরু ৷ নতুন করে পড়াশুনা শুরু করে স্বপ্না ৷