নরেন্দ্রপুর, 17 ডিসেম্বর:হবু স্ত্রী'র নামে নেওয়া ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পেতে তাঁকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার (Rape and Murder Attempt) অভিযোগ উঠল এক যুবক ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে ! ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা দুই অভিযুক্ত ৷ তাঁদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার (Narendrapur Police Station) পুলিশ ৷
শনিবার সকালে রাস্তার ধারে এক তরুণীকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ ঘটনাটি ঘটে নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত নতুন হাট এলাকায় ৷ প্রত্যক্ষদর্শী এক মহিলা বলেন, "আমরা মেয়েটিকে চিনি না ৷ রাস্তার পাশেই পড়ে ছিল মেয়েটি ৷ তাঁর শরীরের পোশাক অবিন্যস্ত ছিল ৷ আমরা পুলিশকে খবর দিই ৷ পুলিশ এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ৷"
আরও পড়ুন:তৃণমূল নেতার অঙ্গুলি হেলনেই ধর্ষণের ভুয়ো অভিযোগ ? উঠছে পালটা চক্রান্তের তত্ত্ব
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণী মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ৷ সম্প্রতি সাবির শেখ নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক হয় ৷ অভিযোগ, বিয়ের আগেই হবু স্ত্রী'র নাম করে বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ করেন তিনি ৷ কিন্তু সেই ঋণের টাকা শোধ করার কোনও ইচ্ছা তাঁর ছিল না ৷ এই অবস্থায় বেড়াতে যাওয়ার নাম করে হবু স্ত্রী'কে ডেকে পাঠান সাবির ৷ ট্রেনে ওই তরুণীকে খাবারের সঙ্গে মাদক বা ঘুমের ওষুধ জাতীয় কিছু মিশিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷ কিন্তু ট্রেন যখন শিয়ালদা স্টেশনে ঢোকে, তখন একবার তাঁর জ্ঞান ফিরেছিল বলে দাবি করেছেন ওই তরুণী ৷ কিন্তু, এরপর তাঁকে ফের নেশার সামগ্রী খাইয়ে বেহুঁশ করে রাখা হয় ৷ পরবর্তীতে মেয়েটিকে নরেন্দ্রপুরের নতুন হাট এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা ৷
তরুণীর দাবি, তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে ৷ আর এই কাণ্ডে ঘটিয়েছেন তাঁর হবু স্বামী এবং তাঁর ভাই ৷ এমনকী, এই ঘটনায় অভিযুক্ত সাবির শেখের পরিবারের অন্যরাও জড়িত রয়েছেন বলে দাবি করেছেন অভিযোগকারিণী ৷ তিনি জানান, ধর্ষণের পর তাঁকে খুনেরও চেষ্টা করা হয় ৷ এমনকী, তিনি আদৌ মারা গিয়েছেন কিনা, তা বোঝার জন্য অভিযুক্তরা তাঁকে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেন বলেও দাবি করেন তরুণী ৷
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ প্রথমে মেয়েটিকে উদ্ধার করে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ পরে সেখান থেকে তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷ মূল দুই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে ৷